দলীয় কোন্দলে জর্জরিত কৃষক লীগ
* কৃষক লীগের কোন্দল নিরসনে আ.লীগের হস্তক্ষেপ
* কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হবে-সমীর চন্দ্র
* কৃষক লীগের দ্বন্দ্ব-কোন্দল অনেকটাই ওপেন সিক্রেট
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ধরণের লড়াই-সংগ্রামের সূতিকাগার ছিল কৃষক সমাজ। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষকদের অধিকার রক্ষায় কৃষক লীগ গঠন করেছিলেন। এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন ১৫ আগস্টে শহীদ কৃষক নেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই কৃষক লীগ এখন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দলে মাইম্যান কমিটিতে নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে বিলীন হওয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রায়ই সংগঠনটি ঘিরে নানা অনিয়ম- অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং এর কথা প্রকাশ্যে বিতর্কের জন্মদিচ্ছে। পরিণত হচ্ছে কাগজে বাঘ সংগঠন হিসেবে। কৃষক লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’ কৃষক লীগের সাংগঠনিক অবস্থান এখন অনেকটাই এমন।
সম্প্রতি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকে ঘিরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ফের মত-বিরোধ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। যার ফলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে কৃষক লীগের দ্বন্দ্ব-কোন্দলে হস্তক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।
কৃষক লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্য দ্বন্দ্বের শুরু হয় দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণের বিষয় নিয়ে; ক্রমান্নয়ে সেই কোন্দল প্রকাশ্যে আসে কমিটি গঠন ও নিজস্ব বলয় তৈরিতে। পরবর্তীতে দলীয় নেতাকে গুলি করার হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এরপর থেকেই কৃষক লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে পড়েছে।
এদিকে কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার অবসান ঘটাতে বিশ্বনাথ সরকার বিটুকে সেই দায়িত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। অথচ সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি বিদেশে যাওয়ার সময় সংগঠনের ৩ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একে এম আজম খানকে দায়িত্ব দিয়ে যান। যদিও সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্রম অনুসারে দায়িত্ব পাওয়ার কথা ১ নং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর। তাকে না দিয়ে স্মৃতি সেই দায়িত্ব আজম খানকে দিয়ে যাওয়ায় নতুন করে জটিলতা প্রকাশ্যে উঠে এসেছে।
গত বৃহস্পতিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিপ্লব ও দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। উভয় নেতা ওবায়দুল কাদেরের কাছে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়; সাধারণ সম্পাদক গঠনতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে তার পছন্দের মাইম্যানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেছেন। যা সংগঠনের জন্য শোভনীয় নয়, শৃঙ্খলা পরিপন্থীও। তখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
এরপর গত শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথসভা শেষে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ৭ম তলায় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র। সমীর চন্দ্র সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইস্যুটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেন। তখন ওবায়দুল কাদের সবকিছু অবগত হয়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কৃষক লীগের ১ম যুগ্ম সাধারণকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন। এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়; বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের গঠনতন্ত্রের ২০ ধারার (গ ও ঘ) উপধারা অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
যদিও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি তার অনুপস্থিতি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ একেএম আজম খানকে দায়িত্ব দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমি নিম্ম স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ১২ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত সফরে বিদেশ গমন করায়; আমি বাংলাদেশে না ফেরা পযন্ত বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ একেএম আজম খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করলাম।
কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হবে-সমীর চন্দ্র
জানতে চাইলে শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ্র সোনালী বার্তাকে বলেন, সাধারণ সম্পাদকের ক্ষেত্রে কৃষক লীগের গঠনতন্ত্রের নিয়ম- ধারাবাহিকতা হচ্ছে এমন যে, সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা জরুরী কোন কাজে দেশের বাহিরে যান তাহলে এক থেকে তিন পর্যন্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যারা থাকেন তাদের কোন একজনকে দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে তবে এক্ষেত্রে যিনি ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থাকেন তার উপরেই দায়িত্ব বর্তায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি যেহেতু আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পর্যন্ত গড়িয়েছে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে নতুন করে ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সুতরাং এতে প্রতীয়মান হয় আমাদের সংগঠনের সাংগঠনিক দুর্বলতা, দলীয় কোন্দল, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বৈষম্য জনসম্মুখে উঠে এসেছে। আর যেহেতু কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম নিজ ক্ষমতাবলে সাংগঠনিক নিয়মকে তোয়াক্কা না করে পছন্দের ব্যক্তিকে ৩নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আজম খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পণ করে গিয়েছেন সেজন্য নতুন করে কিছু বলার থাকে না কতটা জীর্ণদশা। এই ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করা হলে আমি বিব্রতবোধ করি।
দলীয় কোন্দল ও ব্যর্থতার দ্বায় আপনার উপর যায় কিনা জানতে চাইলে কৃষক লীগ সভাপতি বলেন, কাজ করতে গেলে ভুল-ত্রুটি হবে, ভুল থেকেই শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, কৃষক লীগের ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সংগঠন বিরোধী কথাবার্তা ও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের সঙ্গে জড়িত ছিলা। আর ২ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেশের বাইরে আছে, যার কারণে আমি ৩ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজম খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়ে এসেছি। এখন কেনো বিটুকে দায়িত্ব দেয়া হলো সেটা আমার জানা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাম বাংলাদেশ কৃষক লীগ হলেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে সরাসরি কৃষি সংশ্লিষ্টতার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তেমন কাউকে খুজে পাওয়া দুষ্কর। নেই কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কোন মাথা ব্যথাও নেই। বরং নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, কমিটি বাণিজ্য ও অনিয়ম দুর্নীতিতে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে উঠেছে কৃষক লীগ। একদিকে কৃষিবিদরা, অন্যদিকে সংগঠনের নেতারা। যার প্রভাব ফেলেছে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যেও। সংগঠনের সাংগঠনিক কাযক্রম পরিচালনার চেয়ে উভয় নেতাই তাদের নিজস্ব বলয় তৈরিতে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজী না হওয়ার প্রভাব পড়েছে সংগঠনের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়েও। অভ্যন্তরীণ বিভক্তির প্রভাবে নাম কৃষক লীগ হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি নিয়ে কোন সভা-সেমিনার করা আয়োজনও দেখা যায়নি। সরাসরি কৃষির সঙ্গে সম্পর্ক নেই তাদের নেতৃত্বে পরিচালিত এই কৃষক সংগঠনটিও দিনদিন কৃষির সঙ্গে সম্পর্কহীন হয়ে পড়ছে। কৃষি এলাকাবিহীন রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কৃষক লীগের কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছিলেন; ঢাকা শহরে কৃষক লীগের কাজটা কি আমি বুঝি না, শুনছি তারা নাকি বিদেশেও শাখা কমিটি ঘোষণা দিতে চায়। এছাড়াও সংগঠনটির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা সংগঠনে কৃষকদের প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিশেষ করে রাজধানীর গুলশান, বনানীসহ আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডেও শাখা কমিটি করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। যেখানে কৃষক ও কৃষি নেই, সেখানে এই সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এসব কমিটির নামে বাণিজ্যের অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়। আওয়ামী লীগ নেতারাও এটি নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন।
বঙ্গবন্ধুর গড়া এই সংগঠনের বর্তমান কর্মকাণ্ডে হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষক সমাজের নেতারাও। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের স্লোগান হচ্ছে- ‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও। সংগঠনের গঠনতন্ত্রে আছে, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও মূলমন্ত্রে সারা দেশে কৃষক সমাজকে সংগঠিত করে কৃষক-জনতার সার্বিক উন্নয়ন সাধন করাই কৃষক লীগের মূল নীতি। সংগঠনের লক্ষ্যে বলা আছে- কৃষকের কল্যাণে সময়োপযোগী, বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে অবিচল নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে নিজেকে আত্মনিয়োগ করা। কিন্তু কৃষক লীগ এখন শুধু নামেই থাকছে।
গত শুক্রবার এক যৌথসভায় মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি ও নতুন করে সৃষ্ট দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের দলীয় সভাপতির নির্দেশনা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন শাখার সম্মেলন, সহযোগী সংগঠনের প্রত্যেকের অসমাপ্ত সম্মেলন, কমিটি গঠন প্রক্রিয়ায় বিলম্বসহ সাংগঠনিক সমস্যার সমাধান করা জরুরি। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা সব শাখাগুলোকে ঢাকায় ডেকে বসতে পারেন। সমস্যা ও বিরোধ থাকলে তা সমাধানে অনতিবিলম্বে কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমআর