টাইম স্কয়ারের স্ক্রিনে বাবার কাজের প্রদর্শন করালো দুই সন্তান
বিশ্বখ্যাত টাইম স্কয়ারের স্ক্রিনে তুলে ধরে বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিনের কাজকে উৎসাহ দিলেন তার দুই সন্তান নাফিস মো. ওয়াসিক ত্বাহা ও সাদমান জারীফ ত্বালহা। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১ টায়, বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০ টায় ময়মনসিংহের ভালুকা অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিনের কাজের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে আজীবন একইভাবে কাজ করার জন্য উৎসাহ দেন এই দুই সন্তান। স্ক্রিনে দেখানো ভিডিওটি নিজের ফেসবুকে লাইভ দিয়ে তুলে ধরেন সাদমান জারীফ ত্বালহা। লাইভে তিনি জানান, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় ঐতিহাসিক টাইম স্কয়ারে। লাইভে বাবাকে নিয়ে স্কিনের ভিডিও দেখানোর পাশাপাশি জন্মভূমি ভালুকাকেও উপস্থাপন করলেন ত্বালহা।
এই মাহেন্দ্রক্ষণে ত্বাহার সহধর্মিণী মারজানা আক্তার টুম্পা এবং ত্বালহার সহধর্মিণী মোহসিনা আক্তার ইভা উপস্থিত ছিলেন।
গত তিন যুগেরও বেশি ধরে তার গ্রামের মানুষের সুখে দুখে মিশে আছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন ৷ তিনি বুয়েট থেকে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন। পড়াশোনা শেষে সাময়িক চাকরিজীবন শেষে এলাকার মানুষের সঙ্গে মিশে আছেন। এখনো তার দিন কাটে ভালুকার মানুষের সঙ্গেই। পিতার সেইসব কাজের কিছু স্থিরচিত্র তুলে ধরে পিতাকে উৎসাহিত করলেন তারা।
টাইম স্কয়ারের বিভিন্ন স্ক্রিনে (নির্ধারিত ফি দিয়ে) এভাবেই প্রতি মুহূর্তে মানুষকে সচেতন করা বা সারপ্রাইজ দেয়া হয়।
বিষয়টি জানার পর ইঞ্জিনিয়ার মো. অনুভূতি প্রকাশে মহিউদ্দিন জানান, তিনি সব সময়েই তার সন্তান তথা পুরো পরিবার নিয়ে গর্বিত। তার সব ভালো কাজে পরিবার পাশে থাকে উৎসাহ দেয়। তিনি আমৃত্যু ভালুকার মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।