আমার কোন দুর্বলতা নেই, কোন চাওয়া-পাওয়া নেই- শেখ হাসিনা
‘বিশ্ব মোড়লদের’ বিরুদ্ধে দুমুখো নীতি গ্রহণের অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের বিশ্ব মোড়লরা দুইমুখো নীতিতে বিশ্বাস করে। এক জায়গা ফিলিস্তিনের সমস্ত জমি দখল করে রেখেছে, ওটা ইনভেশন না। ইউক্রেনেরটা ইনভেশন। এই দুমুখো নীতি কেন হবে? সেটা আমার প্রশ্ন ছিল। অনেকই সাহস করে বলবে না। আমি বলেছি।
জার্মারনি মিউনিথ সম্মেলন পরবর্তী গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।
সাহস করে কথা বলার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকই সাহস করে বলবে না। নানাজনের নানা দুর্বলতা আছে, আমার কোন দুর্বলতা নেই। আমার কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার কাছে ক্ষমতাটা হল ‘থাকে লক্ষী যায় বালাই’ একটা কথা আছে না। আমার কাছে সেটাই। থাকলে ভালো, আমি দেশের জন্য কাজ করতে পারব। না থাকলে আমার কোন আপসোস নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধকালীন যে কষ্ট আমরা তার ভুক্তভোগী। আমি নিজেই ভুক্তভোগী। আমাদের দেশের মানুষ যে গণহত্যার শিকার সেটা তো আমি জানি। সেজন্য সব সময় বলে আসছি আমরা যুদ্ধ চাই না। শান্তি চাই। আজকে প্যালেস্টাইনে যেটা হচ্ছে সেটা তো অমানবিক কাজ। হাসপাতালের ওপর আক্রমন। হাসপাতালে গিয়ে মানুষ মারা। সব থেকে বেশি বাচ্চাদের কী দূরবস্থা। এটা তো মানবতা বিরোধী।
তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য ছিল ২০২১ পর্যন্ত থাকতে হবে, বাংলাদেশকে একটা ধাপ তুলতে হবে, আমি সেটা করে দিয়েছি। আমি ক্ষমতায় আসবো কি আসবো না, আমিতো পরনির্ভরশীল হয়ে করি নাই। আমার একমাত্র নির্ভরতা হচ্ছে দেশের জনগণ। আমি সবসময় চেয়েছি জনগণের সমর্থন, জনগণের সহযোগিতা পেয়ে..হ্যাঁ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা , বন্ধুত্ব প্রয়োজন, দেশের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন হবে। এখনতো বিশ্বটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। আমাদের অনেক জিনিস কিনতে হচ্ছে, আমরা বাধা পাচ্ছি। সেক্ষেত্রে আমরা বলেছি যুদ্ধটা যখন শুরু হয়, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, সেটা ওই জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। এটা সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দেশে মুদ্রাস্ফীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্ব কষ্ট পাচ্ছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব শুধু একটা জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকছে না। এটা সারা বিশ্বে প্রভাব পড়ছে। মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। সেটা বন্ধ করতে দাবি করেছি। আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যায়নি, ঝগড়া করতে যায়নি। আমরা ধৈর্য্য ধরেছি, আলোচনা করেছি, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি, তারা ফেরত নিক। এখন যে অবস্থা চলছে, আমি সকলকে বলেছি ধৈর্য্য ধরতে। আমরা লক্ষ্য রাখব কোন কিছুতে আমাদের কোন রকম উত্তেজিত হলে চলবে না। শান্ত মাথায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।সেটা করে আমরা সুফল পাচ্ছি। আর যদি হিসাব করেন দক্ষিণ এশিয়া-দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় আমরাই কিন্তু সবথেকে সুস্থ অবস্থায় বিরাজ করছি। অন্য দেশগুলো কষ্ট পাচ্ছে।