শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন শ্রম আপিলের ট্রাইব্যুনাল। তবে কতদিনের জামিন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন ১৬ এপ্রিল।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামি উপস্থিততে রোববার (৩ মার্চ) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এই মামলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে তহবিল থেকে ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির সঙ্গে তদন্তে পাওয়া নতুন আরও একজনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এসএম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।
এ ব্যাপারে ঢাকার আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সহকারী পরিদর্শক আক্কাস আলী জানান, ড. ইউনুসসহ ১৩ জনকে মামলায় পলাতক দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক পারভিন মাহমুদ জামিনে আছেন।
এমআর