শেখ মুজিবুর আওয়ামী লীগের স্ট্রং প্যাট্রেলস- আব্দুর রাজ্জাক
প্যাট্রেলস একটা পাখি। সমুদ্রের মধ্যে শত ঝড় থাকলেও সে পাখি ফিরে আসতে পারে। শেখ মুজিবুর আওয়ামী লীগের স্ট্রং প্যাট্রেলস। পাকিস্থানের জন্য শেখ মুজিব অত্যান্ত ভয়ঙ্কর সুতরাং তার জেলে থাকাই উচিৎ।পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেক ইস্কান্দার মির্জা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটা রিপোর্ট দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভাপতিমন্ডলির সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেন,বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, কী ছিল শোষণ? এই পাকিস্তানিরা বাংলাদেশকে শোষণ করে পশ্চিম পাকিস্তান গড়েছে। বিদেশি সাহায্য আসতো তারা বরবাদ করেছে। ঐ পাকিস্তানকে সবুজ শ্যামল ভূমিতে পরিণত করেছে। সেনা/নৌ/বিমান বাহিনীতে সরকারি চাকুরীতে আমাদের বাঙালির কোন প্রতিনিধিত্ব ছিলনা। সেনাবাহিনীতে ৭ ভাগ, নৌ বাহিনীতে ৮ ভাগ, বিমানবাহিনীতে ১৪ ভাগ বাঙালি ছিল। ১৬০ জন সেন্ট্রাল গভর্নমেন্টে ডেপুটি বাঙালি, কোন জেলারেল ছিলনা, ব্রিগেডিয়ার ছিলনা এমনি বৈষম্যের কথা বঙ্গবন্ধু তুলে ধরতেন। ৫৪ যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ৬২ শিক্ষা আন্দোলন ৬৬তে ৬ দফা আন্দোলন যেটাকে বলা হয় বাঙালির মুক্তির সনদ। ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সর্বোপরি ৭০ এর নির্বাচন। জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানিরা সেটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু আমাদের মধ্যে স্লোগান দিয়েছিলেন ঢাকা না পিন্ডি, আমরা বলেছিলাম ঢাকা, ঢাকা, তোমার দেশ, আমার দেশ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা। এমন স্লোগান পৃথিবীতে খুব কম এসেছে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পরিষদের সেশনকে বাতিল করে ইয়াহিয়া খান ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু কি বক্তব্য দিবেন সারা জাতি আতংকগ্রস্থ, দু:শ্চিন্তায়। অনেকেই বলেছিলো আগরতলা মামলা থেকে বেঁচে গিয়েছে ফাঁসি হয়নি এবার শেখ মুজিব বাঁচবে না। যদি স্বাধীনতা ঘোষণা দেয় ঐখানেই বোম্বিং হবে। প্লেন ঘুরছিল, হেলিকপ্টার ঘুরছিল।
রাজ্জাক আরও বলেন সারা জাতি যখন এরকম একটা আতংকগ্রস্থ অবস্থার মধ্যে অনেকেই বলছেন স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মানুষ মানবে না, অনেকেই বলছিল সাহস নাই উনি বলতে পারবেন না । কিন্তু সেদিন সে ভাষণে বঙ্গবন্ধু যে প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা যত কৌশল তিনি দেখিয়েছিলেন বক্তৃতার মধ্যে স্বাধীনতার ঘোষণাও দিয়েছেন আবার এমনভাবে পাকিস্তানীদেরকে বিভ্রান্ত করেছেন তারা যেন তার উপরে প্রত্যক্ষভাবে কোন একশন না নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, , শেখ মুজিবুর অনেকবার জেলে ছিলো সে অত্যান্ত সফল সংগঠক, তার বুকের পাটা আছে, বাহুতে বল আছে, রাজনীতিতে তিনি আপোস করতে জানেন না। যেটি বিশ্বাস করেন সেটির জন্য একদম আপোসহীন থাকেন। মানুষকে কিভাবে আলোড়িত করতে হয়, মানুষকে কিভাবে উত্তেজিত করে একটা ন্যায়ের জন্য এগিয়ে যেতে হবে ,সংগ্রাম করতে হয় সেসব তিনি জানতেন।