দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মানহানির বিষয়ে সর্তক থাকার আহবান জানালেন – ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, সৌদি আরবে আপনার পরিচয় একজন হজ গাইড নয়। আপনার পরিচয় আপনি বাংলাদেশি। আপনার আচার-আচরণ, কথাবার্তা ও চালচলনের মাধ্যমেই বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফুটে উঠবে। আপনার কারণে দেশের ভাবমূর্তি ও সম্মানহানি যেন না ঘটে সেদিকে বিশেষভাবে সর্তক থাকবেন।
আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার আশকোনায় হজ্ব অফিসে সরকারি হজ্ব গাইড প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
হজ্বে পালনের ফজিলত তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক সুস্থ ও সামর্থ্যবান মুসলমান নর-নারীর উপর হজ্ব আদায় করা ফরজ। ইসলামি শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে হজ্বের বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে। প্রত্যেক হজ্বযাত্রী যাতে সহীহ্ ও শুদ্ধভাবে হজ্ব পালন করতে পারে সে বিষয়ে হজ্ব গাইডদের সর্বদা সোচ্চার থাকতে হবে। হজ্ব গাইডদের গাফলতির কারণে একজন হজ্বযাত্রীর হজ্ব পালনও যদি যথানিয়মে না হয় সেই দায়ভার হজ্ব গাইডের ওপরই বর্তাবে।
হজ্ব গাইডদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আপনাদেরকে দক্ষ হজ্ব গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের প্রতিটি অধিবেশনে শতভাগ মনোযোগী থাকবেন। হজ্বের নিয়ম কানুন, হুকুম-আহকাম ও ধারাবাহিক কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হলে প্রশিক্ষকদেরকে বারবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে গ্রহণ করলেই আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, ইনশাল্লাহ।
ধর্মমন্ত্রী হজ্ব গাইডদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনি হলেন আপনার দলের হজ্বযাত্রীদের জিম্মাদার, পথ প্রদর্শক ও পরামর্শক। হজ্বযাত্রীদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। হজ্ব যাত্রা শুরুর পর থেকে দেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজ্বযাত্রীদের সাথে সার্বক্ষণিক অবস্থান করতে হবে। হজ্বের আরকান-আহকাম এবং সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে হজ্বযাত্রীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মোঃ ফরিদুল হক খান বলেন, দক্ষ হজ্ব গাইড গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রশিক্ষণার্থীই যাতে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন ধীরে শেখে এমন প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
হজ্ব অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার। এতে মোট ১০২ জন হজ্ব গাইড প্রশিক্ষণ গ্রহন করছেন।