একাধিক সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
‘বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে আরও বেশ কয়েকটি সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এই নির্মাণ প্রক্রিয়া আজকের অর্থনীতির চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, কিন্তু চট্টগ্রামের গুরুত্ব সব সময় থাকবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম।’
শনিবার (৯ মার্চ) নগরীর কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। কারণ, ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে এই সমুদ্রবন্দর। চট্টগ্রামের জন্য আলাদা বাজেট প্রস্তুতসহ আরও নানা প্রকল্প নেওয়া হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের বাইরেও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। তা ছাড়া চট্টগ্রামকে বিভিন্ন জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে রক্ষা করার জন্য নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে এবং এগুলো বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ও অন্যান্য সরকারি দফতরকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন করতে গেলে স্থানীয় উৎস থেকে অর্থ আহরণ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়ে বুঝিয়ে দিতে পারলে যেমন, ড্রেন বা নালাগুলো আবর্জনামুক্ত করে দিলেন এবং সেখানে দৃষ্টিনন্দন ফুলের চারা রোপণ করে দিলেন তখন মানুষ রাজস্ব জমা দিতে চাইবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার মিলে কাজ করে গেলে কাজের অগ্রগতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়বে।’
সমাবেশে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুছ সালাম, ভারতীয় হাইকমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, প্যানেল মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।