ক্রমেই রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে বিএনপি-কাদের
রিয়েলিটির সাথে তাদের কন্ট্রাক্ট নেই। কারণ তারা মানুষের চোখের ভাষা বুঝেনা, মনের ভাষা বুঝেনা এবং সে কারণে তারা রাজনীতিতে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে ক্রমেই তারা ভুলের ফাঁদে আটকে যাচ্ছে। এবং এটাই হচ্ছে বাস্তবতা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রবিবার (১০ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডির শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি একটা কথা বলি, আমাদের দেশের আজকের রাজনীতির যে বাস্তবতা এই বাস্তবতায় বিএনপির মতো একটা দল ‘ দে আর লুজিং দেয়ার কন্ট্রাক ইউথ রিয়েলিটি”। এটাই আজকে প্রমাণ হচ্ছে যে রিয়েলিটির সাথে এদের কন্ট্রাক হারিয়ে ফেলছে এবং ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণার কোন সুযোগ ছিলনা। এই নির্বাচনের পরেও বিএনপির মুখে নির্বাচন সরকারের বিরুদ্ধে আর কোন কথা বলার যৌক্তিকতা থাকেনা। যত দোষ নন্দ ঘোষ। এ ধরনের একটা আচ্ছন্ন মানসিকতায় তারা ভুগছে এবং সেটাই তারা করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই যে এতোগুলা নির্বাচন হয়ে গেলো এখানে দলীয় লোক আমরা অংশ নিইনি। বিএনপিও সেভাবেই ঘোষণা দিয়ে এখানে তারা অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজকে এটা প্রমাণ হচ্ছে শেখ হাসিনার হাতে এদেশের গণতন্ত্র নিরাপদ। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ উন্নয়ন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি।শেখ হাসিনার হাতে যতদিন আছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পথ হারাবে না। সেটাই হল বাস্তবতা। তিনিই বাংলাদেশের রিয়েলিটি বুঝেন। মানুষের চোখের ভাষা,মনের ভাষা বোঝেন। যেটা বিএনপি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে।
আপনি যখন চিকিৎসাধীন সেই মূহুর্তে বিএনপির মহাসচিব এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূতও সেখানে গিয়েছে এটা কাকতালীয় কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখুন আমি হাসপাতালে ছিলাম আমাদের সাথে ফখরুল ইসলাম কিংবা মার্কিন রাষ্ট্রদূত কারোর সঙ্গেই আমার দেখা হয়নি। দেখা-সাক্ষাৎ এর কোন সুযোগও ছিলনা।
মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে সিঙ্গাপুরে কোন আলাপ আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন দু:খে? আমি জানতে চাই কোন দু:খে? মামা বাড়ির আবদার….
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মানদন্ড ব্যতয় হয়েছে এমন আরেক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের একটা নিজস্ব হিসেব নিকেশ আছে। এবং পশ্চিমা বিশ্বের যে এলায়েন্স, তাদের সে এলায়েন্স রক্ষা করার বিষয়টি আছে, সেখানে তারা কিছু নীতিমালা অনুসরণ করে। এবং যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যে অবজারভেশন, যে কমেন্টস করেছে ঐখানেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত এলায়েন্সগুলোতে যারা তারা তাদের সুরে কিছুটা সুর মিলিয়ে থাকে কিন্তু আমরা বিশেষভাবে দেখবো প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠিতে কি লিখেছে আমরা দেখবো যে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো কি বলেছে, আমরা দেখবো জার্মানির চ্যান্সেলর কোলাপ সোর্স, ইউরোপীয় কাউনসিলের সভাপতি চার্লস মিচেল, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াটলি নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার প্রকাশ করেছে। কাজেই আমরা সেটাকে ধরেই আমরা আমাদের একসঙ্গে কাজ হচ্ছে কিনা সেটাই আমরা দেখবো। এখন মানদণ্ডের বিচারটা একেকজনের কাছে একেক রকম হতে পারে। আমরা তো মনে করি আমাদের দেশের যে নির্বাচন হয়ে গেলো এই নির্বাচনে মানদণ্ড খুবই যদি তলানিতে গিয়ে পৌঁছাতো সে রকম হলে আজকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা হোয়াইট হাউসের সমর্থন, প্রশংসাসূচক মন্তব্য পাওয়া থেকে অবশ্যই বঞ্চিত হতাম। তারা এটাকে প্রশংসা করেছে একসময় কাজ করতে চাই সেটা বলেছে। আমাদের তো দরকার একসঙ্গে কাজ করবো উন্নয়নের জন্য বিশ্ব শান্তির জন্য টেরোরিজমের বিরুদ্ধে। তো একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার যেখানে ব্যর্থ হয়েছিল সেখানে এই নিয়ে কোন প্রশ্ন আমরা করতে চাইনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন , আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, এড আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সায়েম খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।
কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুর রহমান, নির্মল চ্যাটার্জি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।