‘গাজীপুরে দগ্ধদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন’

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৩৬ জনের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) আহতদের দেখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসাধীন কেউই শঙ্কামুক্ত নন। তাদের মধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের অবস্থা খুবই খারাপ। কারও ৯০ শতাংশ, কারও ১০০ শতাংশই পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ সাত শিশুর কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। সবারই শ্বাসনালি পুড়েছে। পোড়া রোগীদের জন্য সরকারের যা করার দরকার সবই করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা এক বোর্ড সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে এসব তথ্য দেন। সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ভর্তি রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন চিকিৎসকরা।
দগ্ধরা হলেন- নাদিম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ (১৩), তারেক রহমান, সোলায়মান (৯), লালন (২৩), নাঈম (৮), শিল্পী (৪০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭), মুন্নাত (১৮), রাব্বি (১৩), নার্গিস (২৫), সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (৩২), আরিফ (৪০), রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩) ১০%, রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান মোল্লা (৪৫) ৯৫%, মশিউর (২২), লাদেন (২২), কমলা খাতুন (৬৫), নিলয় (৩), বাশার (৪৫), মো. ফেরদৌস (১৯), আজিজুল (২৪), সুমি (১৯), মোতালেব (৪০)।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এই চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বহন করবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে ভাবতে হবে। দগ্ধ রোগীদের অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়তো বাঁচাতে পারবো না, কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেন কোনো অবহেলা না থাকে এটি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক (রেডিওলোজি) ডা. খলিলুর রহমান, অধ্যাপক (এনেস্থিসিওলজি) ডা. আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হাসিব রহমান, সহযোগী অধ্যাপক (বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হোসাইন ইমামসহ (ইমু) অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক।
এমআর