আ.লীগের এমপি সাকিব আল হাসান ‘বিএনএমের সদস্য’; প্রসঙ্গে- কাদের
অলরাউন্ডার ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগদানের ভাইরাল খবর ও ছবির বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ‘বেশি কিছু’ জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
বিএনএমের সদস্য সাকিব আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছেন কীভাবে— জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে মাগুরা থেকে ইলেকশন (নির্বাচন) করেছে, জয় লাভ করেছে। পার্টির কাছে নমিনেশন (মনোনয়ন) চাওয়ার সময় সে পার্টির সদস্য। তার আগে তো সাকিব আমাদের পার্টির কেউ ছিল না। নমিনেশন যখন নেয় তখন তাকে তো প্রাইমারি সদস্য পদ নিতে হয়। সে শর্ত পূরণ করা দরকার সেটা সে করেছে। সেভাবেই আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। সে এমপি হয়েছে নির্বাচনে। আমি এই বিষয়ে আর কিছু জানি না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার কিংস পার্টি তৈরি করেছে কিনা জানতে তিনি বলেন, সরকারি দল কিংস পার্টি করতে যাবে কেন? নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতিতে অনেক ফুল ফুটে। কোনটা কিংস পার্টি, কোনটা প্রজা পার্টি এটা সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটার রেজিস্ট্রেশন করে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। কোন দল কে রিকগনিশন (প্রতিনিধিত্ব) করে এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। এখানে আমাদের কিছু বলার নেই।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) বন্ধুরাষ্ট্র বলতে ইন্ডিয়াকে বলেছে। বলেছে তোমরা স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছো, এখন গণতন্ত্র উদ্ধারে তোমাদের সাহায্য চাই। গণতন্ত্র তো আমাদের ঠিকই আছে। তাদের সাহায্য চাওয়ার অর্থ ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনওভাবে বিদেশি রাষ্ট্র এসে ক্ষমতায় বসাবে এটা তো হতে পারে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়।
‘বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ মানে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র ঠিক আছে। আমাদের নির্বাচন হয়েছে। বিএনপির কাছে বন্ধুপ্রতিম দেশের সহযোগীতার অর্থ তাদেরকে ক্ষমতা বসিয়ে দেওয়া। নির্বাচন ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসাতে পারবে না।
গণতন্ত্রের ব্যাপারে বাংলাদেশের একটা মানদণ্ড আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের ব্যাপারে কেউ পারফেক্ট না। এদেশে ২১ বছর গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দফতর সায়েম খান প্রমুখ।