বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র‍্যাম্প খুলে দেয়া হল: প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদের উপহার – কাদের

শেখ সাদী খান / ১৭৭ Time View
Update : বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিলো। আজ কারওয়ান বাজার র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ (বুধবার) সকাল এগারটায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কাওরানবাজার র‍্যাম্প চালুর উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফসিডি) সংলগ্ন র‍্যাম্প (নামার রাস্তা) খুলে দেওয়া হয়েছে।এই নিয়ে ১৬ টি র‍্যাম্প চালু হচ্ছে।

কাদের আরও বলেন, এই প্রকল্প এই বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছর শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারবো। এরপর হাতিরঝিলের র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।

ঢাকায় রমজান মাসে যানজট বাড়ে এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, রমজানে মানুষ ঈদ ভারাক্রান্ত হয়। শপিংমলে যায়। যানজট একটু থাকবেই। তবে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত তো যানজট হচ্ছে না। মানুষ কম সময়ে যাচ্ছে। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আছে। আস্তে আস্তে ঠিক হবে। একসাথে সব হবে না তো

আপনার মন্ত্রীত্বের ১২ বছরে লক্করঝক্কর বাস বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী আমি তো বাস ঠিক করবো না। এই বাস বন্ধ করলে আপনারা (সাংবাদিক) আগে রাস্তায় নামবেন। বলবেন জনগনকে কষ্ট দেয়। ১২ বছরে তো আমরা কম কাজ করিনি। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে। ১২ বছরের কথা এনে অববাদ কেন দিচ্ছেন। এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় কত কাজ হয়েছে। সব হবে একটু সময় দেন।

বিআরটি প্রকল্প নিয়ে বলেন, এই একটা প্রকল্প দেরী হয়েছে। এটাও হয়ে যাবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আর র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশিমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র‌্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে।

এর আগে, গত বছর ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় বর্তমান সরকার এই মেগা প্রকল্পের আংশিক ভাগ। আর ৩ সেপ্টেম্বর থেকে যান চলাচল শুরু হয়। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হয়। এই অংশে ১৫ টি র‍্যাম্প হয়েছে।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, তাদের এখন পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশে একটা উঠার র‍্যাম্প হবে।

ট্রাফিক বিভাগ বলছে, কারওয়ান বাজার র‍্যাম্প খুলে দিলে গাড়ির চাপ বাড়বে। এখন ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডে গাড়ির চাপ রয়েছে। মতিঝিল ও দক্ষিণ অংশের গাড়ি তখন এই র‍্যাম্প ব্যবহার করবে। কারওয়ান বাজার খুলে দিলে ওই অংশের চাপটা এদিকে চলে আসবে।

জানা যায়, প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয় ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে দুই হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকিটা দেবে ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ, চীন শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন ১৫ শতাংশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর