বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করতেই ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাজারকে অস্থিতিশীল করে পণ্যের দাম বাড়ানো বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ । না হলে রমজানের সময় ঈদের আগে এই ডাক কেন? আর সব ভারতীয় পণ্য বাদ দিয়ে বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থা কখনও ঠিক রাখা যাবে?
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপি’র অনেকেই লাইন দিয়েছিল। অনেকেই গত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য লাইন দিয়েছিল। অনেকের হিসাব মিলে নাই। সেই কারণে তারা ভিন্ন পথে হেঁটেছে। সুতরাং জয়নাল আবেদিন ফারুক সাহেব কিংবা অন্য সাহেবরা যা কিছু বলুক না কেন, কারও যখন গোমর ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে তখন এরকম অনেকেই বলে।
এর আগে একটি টেলিভিশন টকশো-তে বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেছিলেন, রেকর্ড প্রকাশ না করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন।
সেই প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা মামলা করতে চাইলে করুক, আমিও বসে আছি। আমি সেটার জন্য প্রস্তুত আছি। প্রয়োজনে আমরাও আইনগত ব্যবস্থা নেবো। এটা আসলে আইনের বিষয় নয়। এসব কথা বলে আসলে… তাদের নেতারা বিভিন্ন দল করতো। জয়নাল আবেদিন ফারুক ছাত্রলীগ করতো। পরে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট খাওয়ার জন্য বিএনপিতে গেছে। যারা ক্ষমতার উচ্ছিষ্টভোগী তারা নানা ধরনের কথা বলে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে কী না আসে? যারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে দেখা যাবে যে ইফতারের সময় ভারতের পেঁয়াজ দিয়েই ছোলা-পেঁয়াজু খেয়েছেন। এসব খেয়ে উনি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন। আর উনার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি পড়েন। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেন, কয়েকদিন আগে না ভারতে গেলেন চিকিৎসা করতে! তোমরা ভারতে চিকিৎসা করতে জাবা, ভারতের পেঁয়াজ খাবা, গরুর মাংস খাবা, শাড়ি পরবা, অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করবা, আর রাস্তায় নেমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবা। এটার মূল উদ্দেশ্য বাজারকে অস্থিতিশীল করা এবং রমজান ঈদের আগে পণ্যের দাম বাড়ানো।
তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। সুতরাং আমরা একে অপরের সহযোগী। এই সহযোগিতার মাধ্যমেই আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতি সাধিত করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে এই সহযোগিতা অবশ্যই অব্যাহত রাখতে হবে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে চাই।