মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যারা বিশ্বাস করেনা তারা দালাল এবং স্বাধীনতার শত্রু- ওবায়দুল কাদের

যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনা তারা কোনদিনও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনা, এরা দালাল এবং স্বাধীনতার শত্রু । এই দলালদের জন্য আমাদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ২৫ মার্চ গণহত্যার স্বীকৃতি আজও আমরা পায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৫ মার্চ ) দুপুরে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আয়োজিত (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দালালী করে তারা স্বাধীনতার শত্রু।তারা আমাদের স্বাধীনতার শত্রু। বিএনপি পাকিস্তানের দালালী করে, আমাদের শত্রু।এই শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে ,জেলে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে । এই বিএনপি আমাদের জয় বাংলা নিষিদ্ধ করেছে, ৭ই মার্চ ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের নায়ক বঙ্গবন্ধুকে নিষিদ্ধ করেছিল ,২৬ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতিকে নিষিদ্ধ কিরেছিল জিয়াউর রহমান ।
কাদের বলেন, দালালদের বিরোধীতার জন্য পাকিস্তানের কাছে থেকে আমাদের ন্যায্য পাওনা আজও আমরা পাইনি মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে বিএনপি, ২৫ শে মার্চ গণহত্যা নিয়ে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি। এরা কারা? এরা পাকিস্তানের দালাল।বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ একটা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ। এখানে মুক্তিযোদ্ধা হাতে গুনলে কয়জনকে পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন পাকিস্থানের নাগরিকরা বছরের পর বছর আমাদের ঘাড়ে বোঝা হয়ে আছে। কথা দিয়েও তারা পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত নেয়নি। একাত্তরে যুদ্ধ শেষে আমরা আলাদা দেশ আমাদের যে পাওনা পাকিস্তান আজও বুঝিয়ে দেয়নি। পাকিস্থান ৭১ একাত্তরের গণহত্যার জন্য একটিবারও দু:খ প্রকাশ করেনি। পাকিস্তানের কোন সরকার, সরকারি লোক প্রকাশ্যে যুদ্ধাপরাধের জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে, বাংলাদেশের কাছে তারা এ যাবত ক্ষমাপ্রার্থণা করেনি।
তিনি আরও বলেন, নয়া পল্টনে, মির্জা ফখরুল মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছে । আমি জানতে চাই, মির্জা ফখরুল একাত্তর সালে আপনি কোথায় ছিলেন? একাত্তরে আপনি কোথা থেকে ট্রেনিং নিয়েছেন? একাত্তরে কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন ? আমরা জানতে চাই?
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন বিএনপি ক্ষমতার দিবা স্বপ্ন দেখছে। ফখরুল সিঙ্গাপুর থেকে এসে দিবা স্বপ্নে বিভোর। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। বিএনপির প্রভু আছে যারা তাদের স্বার্থের পক্ষে ওকালতি করে। আমাদের বন্ধুরা একাত্তরেও আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোন বিদেশি বন্ধু হস্তক্ষেপ করেনি। অনেকেই চেয়েছিল। বিএনপির প্রভুরা এই নির্বাচন যখন বানচালের চক্রান্ত করেছিল তখন আমাদের বন্ধুরা আমাদের পক্ষে , নির্বাচনের পক্ষে শেখ হাসিনার পক্ষে তারা সেদিন দাঁড়িয়েছিল।
কাদের আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা নেই, বঙ্গবন্ধুর কথা নেই। এতো মানুষের হত্যা কান্ড তা নিয়ে কথা নেই। গাজা নিয়ে কথা বলেনা। ইসরাইল-ফিলিস্থিনি দ্বন্ধ নিয়ে কথা বলেনা। কিন্তু আজকে গাজায় এ পর্যন্ত ৩২ হাজার নর-নারী শিশুকে ইসরাইলি বর্বর বাহিনী হত্যা করেছে । পৃথিবীতে একমাত্র প্রথম শেখ হাসিনা এ হত্যাকান্ডের নিন্দা করেছেন। বাংলাদেশে যারা ধর্মের কথা বলে, ইসলামের ক্থা বলে তাদের কারো মুখে এ পর্যন্ত ইসরাইল বিরোধী বক্তব্য শুনিনি। আজকে ইউরোপ স্বোচ্চার, সারা দুনিয়া সোচ্চার অথচ বাংলাদেশের বিরোধী দল চুপ? কেন? দালালে ভরে গেছে। দালাল পাকিস্থানের দলালে বাংলাদেশ ভরে গেছে। আমাদের আজকের শপথ স্বীকৃতি পেতে হলে এই দালালদের প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।
উক্ত সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমন্ডলির সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এড কামরুল ইসলাম,যুগ্ম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কার্যনির্বাহী সদস্য এড. সানজিদা খানম, আনিসুর রহমান, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ,সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্না কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।