বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ নিতে গিয়ে ১৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মিডেল ইস্ট মনিটর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর গাজায় ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য বিমান থেকে ত্রাণের বস্তা ফেলা হচ্ছিল। এর মধ্যে কয়েকটি বস্তা বেইত লাহিয়া সাগরে পড়ে যায়। এসব ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে সমুদ্রে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহের জন্য সৈকতে অনেকে দৌড়াচ্ছেন। এ ছাড়া কিছু মানুষকে সমুদ্র থেকে মরদেহ তুলে বালুতে রাখতেও দেখা গেছে।
এদিকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় বেসামরিক মৃত্যুর সংখ্যা ‘অত্যধিক বেশি’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
ওয়াশিংটনে গত মঙ্গলবার গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে বক্তৃতাকালে অস্টিন বলেন, গাজায় পৌঁছানো মানবিক সহায়তার পরিমাণও ‘খুব কম’।
পেন্টাগনপ্রধান আরও বলেন, ‘গাজা মানবিক বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এবং দুর্ভিক্ষ এড়ানোর জন্য আমাদের অবিলম্বে সহায়তা বৃদ্ধির প্রয়োজন এবং সমুদ্রপথে অস্থায়ী মানবিক করিডোর খোলার জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড এই কাজকে সাহায্য করবে। কিন্তু মূল বিষয় হলো- স্থলপথে সাহায্য বিতরণ আরও প্রসারিত করা।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান এই হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। পানি, খাবার ও নিরাপদ স্থানের অভাবে উপত্যকাটির বাসিন্দারা মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।
এমআর