নামেই তাঁতী লীগ, কর্মে দুই লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ মাসের পর মাস অতিবাহিত হলেও কার্যালয়ে আসছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে সারাক্ষণ তালা ঝুলছে সংগঠনটির জন্য নির্ধারিত কক্ষের দরজায়। নিজ সংগঠনের ব্যানারে কোনো কর্মসূচি করা হয় না। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মসূচিতেও তাঁতী লীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ে না। কর্মসূচিতে দেখা মেলে না সংগঠনটির কোনো ব্যানার পোষ্টার ও ফেস্টুন।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়কেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে জাতীয় কর্মসূচিগুলোতেও একা একা উপস্থিত হতে দেখা যায়। বিশেষ করে তাঁত শিল্প যখন বিলুপ্তির মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখনও তাঁত শিল্পের বিকাশে কোনো ভূমিকা নেই তাঁতী লীগের। ফলে কমছে তাঁত শিল্প; কমছে তাঁতীর সংখ্যা। অথচ বিপরীতে সারাদেশে বেড়ে চলেছে তাঁতী লীগের নেতাকর্মী। দেশের অধিকাংশ জায়গায় তাঁতী লীগের কমিটি আছে। অবশ্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তাঁতী লীগের কতটি কমিটি আছে, তার সুনির্দিষ্ট হিসাব সংগঠনের দায়িত্বশীল কোনো নেতাই দিতে পারেননি।
সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলছেন, তাঁতী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মুখ থুবড়ে পড়েছে সংগঠনের সাংগঠনিক অবস্থা। সংগঠনের সাংগঠনিক গতি স্থবির হয়ে আছে। এই মুহুর্তে শীর্ষ দুই নেতার কোন্দলে তাঁতী লীগের কোনো অর্জন নেই। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা কার্যালয়মুখী হচ্ছেন না। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মাসুদা সিদ্দিকী রুজি সংগঠন থেকে নিজের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। বর্তমানে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়াও কার্যালয়ে আসেন না সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তাঁতী লীগের কমিটিতে রয়েছেন প্রকৌশলী, অধ্যাপক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। তাঁতীদের উন্নয়নে কোনো কর্মসূচি নেই তাদের। বরং ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে নানা সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। আর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অনেককেই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অথচ ২০১৭ সালে ১৯ মার্চ তাঁতী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘নেতা হয়ে শুধু বসে থাকলে চলবে না। তাঁতীদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো কী তা দেখতে হবে। তাদের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। তাদের মধ্যে যে মেধা রয়ে গেছে… এই ঐতিহ্যটাকে যেন তারা লেখাপড়ার সাথে সাথে ধরে রাখতে পারে।’
জানতে চাইলে তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলী সোনালী বার্তাকে বলেন, তাঁতী লীগে অভ্যন্তরীণ কোনো কোন্দল নেই। সারাদেশে তাঁতী লীগের সাংগঠনিক অবস্থা গতিশীল আছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় প্রোগ্রামের কারণে সংগঠনের আলাদা কোনো প্রোগ্রাম হয়নি। তাঁতী লীগ (আমরা) প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ। আমি প্রায়ই দলীয় কার্যালয়ে আসি। গত মঙ্গলবারও এসেছি। তবে এখন রমজান মাস বলে কম আসা হচ্ছে।
তাঁতী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা সোনালী বার্তাকে বলেন, তাঁতী লীগের প্রতিষ্ঠাতা আমি। নিজের সংসারের মতো এই সংগঠনটির জন্ম দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আমাকে সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি বানিয়েছেন। অথচ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কখনো কোনো কাজে আমাকে ডাকেন না। তারপরও আমি প্রতিটি জাতীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি। গতকালও আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে মৃত্যুপথ যাত্রী তাঁতী লীগকে বাঁচাতে হলে কাউন্সিলের বিকল্প নাই। সংগঠনের সাংগঠনিক গতিশীলতা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা কার্যকর উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করছি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তাঁতী লীগের কার্যালয় যে ভবনটিতে সেই ভবনের পঞ্চম তলায় তাঁতী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের রুমে প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে ফ্লোরে একটি বিছানা। যা তাতী লীগের অফিস সহকারীর। দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন স্থায়ী ভাবে বিছানা পেতে সেখানেই বসবাস করছেন অফিস সহকারী।
দীর্ঘদিন ধরে কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত এক ভ্রাম্যমাণ চা-সিগারেট বিক্রেতা সোনালী বার্তাকে বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খুব একটা আসেন না। হঠাৎ তারা কার্যালয়ে উপস্থিত হলেও মিনিট দশেকের মধ্যেই চলে যান। সভাপতি এলে সাধারণ সম্পাদক আসেন না, সাধারণ সম্পাদক এলে সভাপতি আসেন না।
সর্বশেষ কবে তাদেরকে কার্যালয়ে আসতে দেখেছেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে তো ভালোই হতো সংগঠনের কোনো কাজ না হলেও আমি তো কয়েক পয়সা উপার্জন করতে পারতাম। মানে চা-সিগারেট বিক্রি করতে পারতাম।
এদিকে কার্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা একজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনালী বার্তাকে বলেন, সংগঠনটির (তাঁতী লীগ) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক শেষ বারের মতো কবে কার্যালয় মুখী হয়েছেন তা আমার জানা নেই। তাদের দেখা পাওয়া অনেকটাই আলাদীনের চেরাগের মতো।
আর কার্যালয়ের নিচতলায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে যাচ্ছেন এমন একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভবনটিতে তাঁতী লীগের একটি কার্যালয় আছে বলে তারা বিলবোর্ডের মাধ্যমে জানেন। কিন্তু সংগঠনটির কোনো নেতাকে তারা চেনেন না। কার্যালয়ে আসতেও দেখেন না।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সবশেষ গতকাল বুধবার বিকেলেও মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে রিসিভ করেননি দপ্তর সম্পাদক অনুকূল চন্দ্র মন্ডল।
তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ সোনালী বার্তাকে বলেন, আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। এই মুহুর্তে কথা বলাটাই আমার জন্য কষ্টকর। সংগঠনের সাংগঠনিক বিষয়ে কথা বলার জন্য কিছুদিন পরে বলতে পারবো। সে জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। বলে ফোন কল কেটে দেন।
সংগঠনটির বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁতীদের উন্নয়নে কোনো কর্মসূচি নেই তাদের। বরং ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে নানা সুবিধা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ দুই কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে। কমিটি-বাণিজ্যসহ অর্থ আদায়ের নানা অভিযোগও রয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে অনেককেই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আর শীর্ষ নেতাদের বয়সের ভারে যেন ন্যূব্জ হয়ে পড়েছে তাঁতী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। তাঁত শিল্পের মতো যেন বিলুপ্তির পথে হাঁটছে সংগঠনটি। এছাড়াও জেলা-উপজেলার কমিটি গঠন নিয়েও বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবস, জাতীয় শোক দিবস ও মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির বাইরে তেমন কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায় না তাঁতী লীগের নেতাকর্মীদের। তাঁতীদের মাঝেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারেনি সংগঠনটি। এমনকি দুঃস্থ তাঁতী ও অসহায় নেতাকর্মীদেরও খোঁজ রাখেননি সংগঠনটির শীর্ষ নেতারা। বরং দুঃস্থ নেতাকর্মী ও অসহায় তাঁতীদের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে পাওয়া বরাদ্দের টাকাও নয়-ছয় হয়েছে। তাঁতী লীগকে সংগঠিত ও সুদৃঢ় করার পরিবর্তে নিজ নিজ বলয়ে সংগঠনকে বিভক্ত করেছেন শীর্ষ দুই নেতা। জেলা-উপজেলার কমিটিতেও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেনি। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিভিন্ন সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত-অব্যাহতিপ্রাপ্তদেরও সংগঠনে জায়গা দিয়েছেন তারা।
অভিযোগ রয়েছে, তাঁতী লীগের বর্তমান কমিটিতে জায়গা পেয়েছে দলছুট, সুবিধাবাদী, স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-বিএনপির রাজনীতি করা লোকজনও। ২০১৭ সালের ২১ জুলাই তাঁতী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ফ্রিডম পার্টি-পিডিপি, বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে তাঁতী লীগ থেকে বহিষ্কার করার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেও মানববন্ধন করেছে সংগঠনের একটি অংশ। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে পিডিপি থেকে আসা তিন জনকে বহিষ্কার করে তাঁতী লীগ।
সেই সময় তাঁতী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়র শওকত আলী বলেছিলেন, এগুলো কি বলেন? আমরা জেনে-শুনে কি এদের নেব? যে তিন জনকে বাদ দেয়া হয়েছে তারা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) বিরুদ্ধে কি কথা যেন বলেছিলেন। পিডিপি ও ফ্রিডম পার্টির কারণে না। নেত্রীর বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মোটাদাগে তাঁতী লীগের উদ্দেশ্য তিনটি। ১. হতদরিদ্র তাঁতী সমাজসহ পশ্চাৎপদ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন গড়ে তোলা। ২. তাঁত শিল্প সম্প্রদায় ও বস্ত্রখাতের উন্নয়নের সমস্যা ও অন্তরায়গুলো চিহ্নিত করে বাস্তবসম্মত সমাধানের লক্ষ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন। ৩. আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ঘোষিত সব কর্মসূচি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করা।
কোনো সহযোগী সংগঠন বা আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী অপকর্ম করলে তার দায় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।
তাঁতী লীগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক সোনালী বার্তাকে বলেন, গঠনতন্ত্র ও নেতাদের বক্তব্য তাঁতীদের জন্য অনেক কিছু করার কথা প্রচার থাকলেও বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত। মূলত মূল দলের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তাঁরা একটি পরিচয় পান। দল ক্ষমতায় থাকলে এই পরিচয়ে কিছু সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। পেশাজীবী সংগঠন হলেও পেশাজীবীদের স্বার্থে কখনো কিছু করেন না। তারপরও দেশের সীমানা পেরিয়ে বিভিন্ন দেশেও কমিটি করেছে তাঁতী লীগ।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আমাদের সামনে তা উপস্থাপন করলে আমরা অবশ্যই সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগ নেয়া হবে।
তাঁতী লীগের গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৯৬৫ সালে তাঁতী সমিতির মাধ্যমে। এরপর ১৯৮৯ সালে তাঁতী লীগের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাকালে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোহবার উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন সাধনা দাশগুপ্তাসহ অন্যরা। প্রতিষ্ঠার পরে ১৯৯৫ সালের ২২ জুলাই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা লাভ করে সংগঠনটি। তার দুই বছর পর ১৯৯৭ সালে ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলীকে সভাপতি ও সাধনা দাশগুপ্তাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি দেয়া হয়।
এরপর ২০০৩ সাল পর্যন্ত নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে তাঁতী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। ২০০৩ সালে এসে ফের আহ্বায়ক কমিটি করা হয় তাঁতী লীগের। এনাজুর রহমান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও সাধনা দাশগুপ্তা, খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথসহ অন্যদের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলীকে সদস্য করা হয়। ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ প্রথম আনুষ্ঠানিক কাউন্সিল হয় তাঁতী লীগের। সেখানে পুনরায় সভাপতি করা হয় ইঞ্জিনিয়ার মো. শওকত আলীকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয় খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথকে। আর কার্যকরী সভাপতি করা হয় সাধনা দাশগুপ্তাকে।