সংরক্ষিত নারী আসনের এমপিদের মধ্যে বেশির ভাগই ব্যবসায়ী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যে ৮ জন রাজনীতিকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পেশার দিক থেকে সব থেকে বেশি রয়েছে ব্যবসায়ী। ১৩ জন উল্লেখ করেছেন তারা ব্যবসারের সাথে জড়িত।
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ৫০ জন সংসদ সদস্যের হলফনামায় দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন এ কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ তুলে ধরে এই বেসরকারি সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৩ জনের (২৬ শতাংশ) পেশা ব্যবসা, ৮ জন (১৬ শতাংশ) তাঁদের পেশা রাজনীতি, ৭ জন (১৪ শতাংশ) চাকরিজীবী, ৫ জন (১০ শতাংশ) শিক্ষক, ৫ জন (১০ শতাংশ) গৃহিণী, ২ জন (৪ শতাংশ) আইনজীবী ও ২ জন (৪ শতাংশ) কৃষিজীবী।এ ছাড়া ৮ জন (১৬ শতাংশ) বিভিন্ন পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে বার্ষিক ৫ লাখ টাকা বা তার চেয়ে কম আয় করেন মাত্র ১০ জন (২০ শতাংশ)। ২ জন হলফনামায় তাদের আয় দেখাননি।
বছরে ৫ লাখ টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করেন ২০ জন (৪০ শতাংশ), ২৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করেন ১০ জন (২০ শতাংশ), ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫ জন (১০ শতাংশ) এবং ১ কোটি টাকার বেশি আয় করেন ২ জন (৪ শতাংশ)।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য–উপাত্ত তুলে ধরেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। তিনি জানান, সাধারণ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৩৭.৩৩ শতাংশ কোটি টাকার বেশি আয় করলেও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই হার ৪ শতাংশ। এখানে সাধারণ আসন এবং সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের মধ্যে আয়বৈষম্য লক্ষ করা যায়।
সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচিত ৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ৩০ জন (৬০ শতাংশ) স্নাতকোত্তর (২ জন পিএইচডিসহ), ৮ জন (১৬ শতাংশ) স্নাতক, ৪ জন (৮ শতাংশ) এইচএসসি, ৫ জন (১০ শতাংশ) এসএসসি এবং ৩ জন (৬ শতাংশ) এসএসসির চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসমপন্ন।