যাত্রাবাড়ীমুখী সব সড়কে দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তি
রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ এবং বের হওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ যাত্রাবাড়ী। ৫ দিক থেকে ৫টি সড়ক মিলেছে এই এক মোড়ে। জনসাধারণকে ঢাকা থেকে নরসিংদী হয়ে সিলেট বিভাগে, নারায়ণগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা বা চট্টগ্রাম বিভাগে এবং পদ্মাসেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গে যেতে হলে ব্যবহার করতে হয় এ মোড়। অতিগুরুত্বপূর্ণ এ মোড়ে এসে মিলেছে যে কয়টি সড়ক, তার সবগুলোতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার থেকে চলমান এ জট মঙ্গলবার সকালে এসে প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে বিভিন্ন প্রয়োজনে ঢাকায় প্রবেশ করা এবং ঢাকা থেকে বের হওয়া মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা গেছে, যানজট যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, কাজলা থেকে শনির আখড়া, রায়েরবাগ ছাড়িয়ে মাতুয়াইল মেডিকেল পর্যন্ত চলে গেছে। অন্যদিকে বাসাবো, কমলাপুর থেকে যানজট শুরু হয়ে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত ঠেকেছে। আবার সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত সড়কেও আছে যানজট। মূলত যাত্রাবাড়ী থেকে এ পাশে ঢাকার মধ্যে যানজট থাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে না। এজন্য মহাসড়কের ওই অংশেও যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
একই সঙ্গে শনির আখড়া বা রায়েরবাগ এলাকা থেকে গুলিস্তানে চলাচল করা লোকাল গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট। মূলত যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা দিয়ে গাড়ি ঢাকায় ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে। একই সঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারেও যানজট দেখা দিয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বুধবার বা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। এ কারণে দূর-দূরান্তে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকায় প্রবেশের পথে যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। একটু একটু করে এগোচ্ছে গাড়ি। পথে পথে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। এছাড়া গুলিস্তানসহ রাজধানীর বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
মানুষের এ দুর্ভোগের সুযোগে ভাড়া কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ২০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।
শনির আখড়ার দনিয়া কলেজের সামনে একদল মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন। তারা সবাই গুলিস্তানের একটি মার্কেটের বিভিন্ন দোকানের কর্মী। তাদের একজন হাফিজুর রহমান বলেন, হঠাৎ কী হলো বুঝলাম না! যেমন যানজট, আবার গাড়িও নাই। দু-একটা গাড়ি আসছে, তাও সিটিং। ভাড়া কয়েকগুণ বেশি।
গুলিস্তান-রায়েরবাগ রুটে চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের একজন কর্মী জানান, ঈদের কারণে লোকাল গাড়িগুলো দূরের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রী নিয়ে গেছে। তাই গাড়ি কম।
এদিকে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ঢাকা ছাড়তে পোস্তগোলা সড়কেও রয়েছে ভোগান্তি। পোস্তগোলা সড়কে যেতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। তবে গুলিস্তান যেতে যাত্রবাড়ী মোড় পেরিয়ে ফ্লাইওভারের ওপরে যানজট নেই।
এমআর