বেইজিং-পিয়ংইয়ং ‘নতুন অধ্যায়ের’ ওপর গুরুত্বারোপ
চীনের শীর্ষ আইনপ্রণেতা এবং উত্তর কোরিয়ার একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বেইজিং-পিয়ংইয়ং সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ চালুর উপর জোর দিয়েছেন। দীর্ঘদিনের মিত্র দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের আলোচনার জন্য সাক্ষাতকালে তারা এই বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। শনিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
বেইজিংয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ঝাও লেজি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পরমাণু ক্ষমতাধর দেশ উত্তর কোরিয়া শুভেচ্ছা সফর করছেন।
চীন হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার এবং কূটনৈতিক মিত্র দেশ। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে কিম জং উনের সরকারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চালানো প্রচেষ্টা বাধা দিয়ে আসছে বেইজিং। এক্ষেত্রে চীনের পাশাপাশি রাশিয়াও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন নেতৃত্বাধীন প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করতে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করে দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ জানায়, ঝাও এবং উত্তর কোরিয়ার আইনপ্রণেতা চোয়ে রিয়ং হে শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ে ‘ডিপিআরকে-চীন বন্ধুত্বের বছর’ পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
কেসিএনএ পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় ঝাও বলেন, চীন-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক ‘সফলভাবে রক্ষা, সুসংহত এবং বিকাশে’ এটি বেইজিংয়েরর ‘সামঞ্জস্যপূর্ণ কৌশলগত নীতি’।
তিনি আরো বলেন, চীন দুই দেশের মধ্যে ‘গুরুত্বপূর্ণ অভিন্ন বোঝাপড়াকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন এবং ‘সময়ের প্রেক্ষিতে চীন-ডিপিআরকে বন্ধুত্বের একটি নতুন অধ্যায়ের উন্মোচন করতে ইচ্ছুক।’
চোয়ে এবং ঝাওকে একে অপরের পাশে বসে দিবসটির পারফরম্যান্স দেখতে দেখা গেছে।