শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো যুদ্ধ বন্ধে ভূমিকা রাখবে প্রত্যাশা বাংলাদেশের
গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো ভূমিকা রাখবে বলে আশা করে বাংলাদেশ। রবিবার (১৪ এপ্রিল) এন্টিগুয়া ও বারবুডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চেট গ্রিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার। আমরা যেকোনও যুদ্ধবিগ্রহের বিরুদ্ধে। পৃথিবীর সব যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং শান্তি স্থাপিত হোক—এটি আমরা চাই। গাজায় যে নির্বিচারে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, সেটি অবিলম্বে বন্ধ হোক এটিও আমরা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি মিশনে আক্রমণ করেছে। এর পরই ইরান এই আক্রমণটি করার সুযোগ পেয়েছে। অন্যথায় হয়তো এই আক্রমণটি হতো না। ইরানের বক্তব্য, তারা রিটালিয়েট করেছে (পাল্টা জবাব দিয়েছে)। আমরা চাই সব যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ হোক এবং যেসব রাষ্ট্র ভূমিকা রাখতে পারে, আমরা আশা করবো তারা যথাযথ ভূমিকা রাখবে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যে টেনশন তৈরি হয়েছে সেটি নিরসন করতে এবং একইসঙ্গে গাজায় নির্বিচারে যে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে সেটি বন্ধে ভূমিকা রাখবে তারা।’
উল্লেখ্য, শনিবার দিবাগত রাতে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা শুরু করেছে ইরান। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার বদলা হিসেবে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছোড়া শুরু করে তারা। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের প্রথম কোনও সরাসরি হামলা এটি।
এদিকে ইসরায়েল দাবি করেছে ইরানের ছোড়া ৩০০টিরও বেশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই তারা ঠেকিয়ে দিয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলা নিয়ে রবিবার (১৪ এপ্রিল) জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।