শিরোনাম
গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপকর্মে লিপ্ত বিএনপি- কাদের
বিএনপি আগুন-সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে অন্যদিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে বিরোধী দলকে দমনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরছে। বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র ও অপকর্মে লিপ্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা, বানোয়াট ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচন বানচালের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল। এর আগে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তি সারাদেশে ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ চালিয়ে শত শত নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। তাদের ভয়ঙ্কর সম্মিলিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেই বিএনপি নেতারা বিরোধী দলকে দমন করার কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার কাউকে বেপরোয়াভাবে বন্দি করছে না। বরং সন্ত্রাস ও সহিংসতার অভিযোগে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা-কর্মীরা আইন ও আদালতের মুখোমুখি হয়ে জামিনে মুক্ত হচ্ছেন। তবে যেসব সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদাররা নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা ও মহামান্য আদালত যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবেন। বিএনপি আইন মানছে না। এ কারণে বিএনপি নেতারা বিরোধী দলকে দমনের মিথ্যা অভিযোগ করে সন্ত্রাসীদের রক্ষার চেষ্টা করছেন। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, বিরোধী দল আওয়ামী লীগ দমন-পীড়নে বিশ্বাস করে না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় নেই, তারা যে দলেরই হোক না কেন, তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অনৈতিক বক্তব্য দিচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন জ্বরের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি বরাবরের মতোই নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বিরোধী অবস্থান নেওয়ায় আওয়ামী লীগকেও ভিন্ন প্রেক্ষাপটে কৌশলগত অবস্থান নিতে হয়েছে। তাই এবার দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে, দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হবেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে হস্তক্ষেপ করতে না পারেন সেজন্য কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে সারাদেশে প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচারণা ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তখন বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বিএনপির গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ক্রমাগত মিথ্যাচার করছেন। আসলে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর