বিএনপি তাদের দল এবং দেশের গণতন্ত্র দুটোই ধ্বংসের চেষ্টা চালাচ্ছে : ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা চাই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াক, কিন্তু তারা ক্রমাগত নিজেরাই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হচ্ছে। তারা (বিএনপি) গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
‘বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে’ বলে মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের হাত ধরেই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পক্ষান্তরে বিএনপি গণতন্ত্র ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা বলুন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলুন বিএনপি সবকিছু ধ্বংস করার জন্য সবসময়ই অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’
আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াক, কিন্তু তারা ক্রমাগত নিজেরাই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হচ্ছে।
এদিকে মন্ত্রণালয়ে কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফর সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভারতের আসামের পরিবেশ ও বন মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটওয়ারীর সহধর্মিণী প্রখ্যাত লেখক গবেষক ড. রীতা চৌধুরী রচিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাসত্রয়ী ‘নেভারল্যান্ড’ সিরিজের প্রথম বই ‘জিরো আওয়ার’ এবং বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’র অহমিয়া ভাষার সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন করেন। ড. রীতা চৌধুরী, বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি আমিনুর রহমান এবং আসামের ‘ব্যতিক্রম’ প্রকাশনী সংস্থার পরিচালক ড. সৌমেন ভারতীয়া মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
এ ছাড়া আজ মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এবং ঢাকায় ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সাথে ব্যবসা সম্প্রসারণে রপ্তানি বৃদ্ধিসহ দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যাকে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে স্বীকারের বিষয়টিও উত্থাপন করেছি।
ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে সংস্থাটির সাথে দেশের ৫০ বছরের সহযোগিতার সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করা হয়। পাশাপাশি জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ সহজে ছাড় করার বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়।