সোনালী লাইফের অফিস ভাড়াকে ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম পরিশোধ দেখানোর দাবি
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অফিস ভাড়াকে ওই ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ হিসেবে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কোম্পানিটির তৎকালীন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর রাশেদ বিন আমান ‘জালিয়াতির’ মাধ্যমে এটা করেছিলেন বলে দাবি করেছে কোম্পানিটি।
সম্প্রতি কোম্পানির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এমনটা বলা হয়েছে।
সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান মুস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, মীর রাশেদ বিন আমান তথ্য বিকৃতির মাধ্যমে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রদত্ত অফিস ভাড়াকেই ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ হিসেবে দেখিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশেদ বিন আমান অর্থনৈতিক জালিয়াতির জন্য শুধুমাত্র বিভিন্ন তথ্য বিকৃতি ও কোম্পানির ব্যাংক হিসাবই বিকৃতি করেননি বরং কোম্পানির হোস্টাইল টেকওভারের পরিকল্পনা নিয়ে কাজে নেমেছিলেন।
এর আগে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনালী লাইফ জানায়, রাশেদ বিন আমানের সময়ে কোম্পানির তহবিল বেআইনিভাবে ব্যবহার করে তার নিজ ও নিজস্ব পরিবারভুক্ত সদস্যদের অনেকের নামে সোনালী লাইফের শেয়ার ক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। যা তিনি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষীয় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং প্রচেষ্টায় অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হোস্টাইল টেকওভারের পরিকল্পনাটি কোম্পানির তহবিল থেকে আত্মীয়স্বজনদের নামে শেয়ার ক্রয়ের প্রমান পাওয়া যায়।
এরকম পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিলো নির্দিষ্ট সময়ে একটা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সোনালী লাইফের বর্তমান পরিচালকদের উৎখাতের মাধ্যমে রাশেদ বিন আমানের পরিবারের সদস্য ও আশির্বাদপুষ্টদের নিয়ে বোর্ড গঠন করা। এগুলো করার জন্য তিনি কোম্পানির যাবতীয় ব্যাংক হিসাবই ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করেছেন।
কোম্পানিটি জানায়, অডিট রিপোর্টের মধ্যে এমন কোনো উল্লেখ্য নেই, ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস কতো টাকা তার নিজস্ব ভবন ব্যবহার করার জন্য ভাড়া বাবদ সোনালী লাইফের কাছে প্রাপ্য ছিলেন। কোনো বাড়ির মালিক বিনা ভাড়ায় বাড়ি ভাড়া দেবেন না এটাই আইনসম্মত এবং ভাড়া পাওয়ার সম্পূর্ণ আইনগত অধিকার সম্পত্তির মালিকের রয়েছে। কিন্ত রাশেদ বিন আমান এই বাড়ি ভাড়াকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভবনের ক্রয়মূল্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধ হিসেবে দেখিয়েছেন। এটা সত্যের অপলাপ।
মুস্তফা গোলাম কুদ্দুস বলেন, ভাড়া সংক্রান্ত তথ্য অডিট প্রদানকারী সংস্থা সম্পূর্ণ আমলে না নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে। উল্লেখ্য যে, অডিট রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাকে শুধুমাত্র আংশিক তদন্তের জন্য রেফারেন্সের শর্তাবলীর মধ্যে ভাড়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে বলা হয়নি বিধায় তারা সেটি উল্লেখ করেনি বলে জানায়।
অডিট কোম্পানি হুদাভাসি এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অডিট রিপোর্টের কোনো কপি সোনালী লাইফের পরিচালনা পর্ষদকে বা কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে প্রদান করেনি।
অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সদ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সোনালী লাইফকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করার জন্য এই ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে কোম্পানির ধারনা।