ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা জটিল, তবে সম্ভব: রাষ্ট্রদূত
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্রাজিলকে জীবন্ত গরু পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। দূরত্ব বিবেচনায় বিষয়টি জটিল। তবে চাইলে বাংলাদেশে গরু আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। বুধবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, মাংসখাতে বাংলাদেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশে জীবন্ত গরু নিয়ে আসা সম্ভব।
এর আগে ৭-৮ এপ্রিল ঢাকা সফর করেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। সে সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি আগামী কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানান ব্রাজিলকে।
কোরবানিতে ব্রাজিল থেকে গরু পাঠানোর অনুরোধ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
এদিকে চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণপত্র জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা।
প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো বলেন, জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল যাবেন। তিনি জি-২০ সম্মেলনের আগে ব্রাজিল সফর করবেন। যদি তিনি ব্রাজিল যান, তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি তা হয়তো সই হতে পারে।
বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান পাওলো ফার্নান্দো।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন সংকটের মাঝে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হচ্ছে। ভারত ব্রাজিল থেকে প্রচুর ইথানল কেনে। কোভিডের পর ইউক্রেন যুদ্ধ, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে অস্থির হয়ে পড়েছে বিশ্ব। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। তাই তেলের বিকল্প হিসেবে ইথানল ব্যবহার সস্তা হবে।
ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের বড় বাজার হতে পারে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে। এটাই সবচেয়ে উত্তম সমাধান।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বক্তব্য দেন।
এমআর