স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনার স্বপ্ন সারথী হতে চাই – অপু
ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোঃ সফিকুল ইসলাম অপু।
আজ রবিবার বিকেল তিনটার দিকে ধানমন্ডি ৩/এ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্যালয়ে সশরীরে এসে তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সফিকুল ইসলাম অপু একটা বিদ্যাপীঠ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত থেকে নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে সদা আপোসহীন আওয়ামী লীগের প্রশ্নে। শত প্রতিকূলতা ও লড়াই সংগ্রামে মেরুদণ্ড সোজা করে বিরোধী অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবেলা করে টিকে আছেন এই নেতা।
২০০২-২০০৫ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাজনীতি প্রবেশ । ২০০৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচনে পরাজিত হন।
সফিকুল ইসলাম অপু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বাবা এ বি এম গোলাম মজিদ বঙ্গবন্ধুর সময়ে ১৯৭০ সালে জাতীয় প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টর রানা ঘাটে দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের স্বাক্ষরকারী এবং বৃহত্তর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
দৈনিক সোনালী বার্তাকে দেয়া সাক্ষাতকারে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম অপু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সারা বাংলাদেশে। উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের অন্যন্য দেশসমূহ শেখ হাসিনার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বকে ভূয়সী প্রশংসা করে তার সরকারের সাথে আজকে একত্রে কাজ করতে আগ্রহ ব্যক্ত করে বাংলাদেশকে সমীহ করে।
অপু আরও বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্রতম কর্মী। ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা আসনে সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা জনাব আব্দুল হাই ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের অঘোষিত অভিভাবক ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ তথা শৈলকূপা উপজেলাবাসীকে উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন বর্তমান সরকারের আমলে। আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা ও সহকর্মী ছিলেন আব্দুল হাই। তার অবর্তমানে শৈলকূপা উপজেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি দেয়া যে সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এখনো সাধিত হয়নি সেগুলো আমি শেষ করতে চাই।
এই নেতা আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য এবং স্বপ্ন সারথী হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিণির্মানে ক্ষুদ্রতম অংশীদার হতে চাই। জননেত্রী কৃপা করে আমাকে মনোনয়ন দিলে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো বলে প্রত্যাশা করি । এবং শৈলকূপা উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি আরও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করতে চাই।
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। তার মৃত্যুতে শূণ্য হওয়া আসনে গত শনিবার সকাল থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।