শিরোনাম
আপার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং শিরোধার্য- অপু
ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মোঃ সফিকুল ইসলাম অপু।
আজ সোমবার ( ২৯ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমাদান কালে সোনালী বার্তার সাথে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্রতম একজন কর্মী হিসেবে দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। দলের সভাপতি ও আমাদের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে একক ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত রাখেন। উনি যেটা চাইবেন ,সেটাই হবে। আপার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ও শিরোধার্য বলেই মনে করি বলে মন্তব্য করেছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সফিকুল ইসলাম অপু।
অপু বলেন, আওয়ামী লীগ করতে হলে দলের সুপ্রিম পাওয়ারের কথা মেনে চলতে হবে, তবেই দলে থাকবে শৃঙ্খলা, দল হবে সুসংগঠিত। শেখ হাসিনা আমাদের দলের একমাত্র রূপান্তরের রুপকার, ক্রাইসিস ম্যানেজার। তার কথা অমান্য করে রাজনীতি বিগত দিনেও করেনি, আগামীতেও করবে না। আমৃত্যু দলের প্রতি আনুগত্য থেকেই রাজনীতি করে যেতে চাই ।
ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা আসনের কেন এমপি হতে চান জানতে চাইলে সফিকুল ইসলাম অপু বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্যদের দলের প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবেন এমনটি বলেছিলেন। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা, প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা, প্রার্থীর সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা এসব বিষয়গুলো আমরা বিবেচনা করি। নির্বাচন আসলে প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকের আকাঙ্ক্ষা থাকবে। প্রার্থী যদি হয়, শত ফুল ফুটতে দিন, যেই ফুলটি সবচেয়ে সুন্দর সেটিই আমি বেছে নেব। সুতরাং দলের প্রতি আমার আনুগত্য, ত্যাগ, লড়াই-সংগ্রাম, মানুষের সাথে আত্মিক সম্পর্ক বিবেচনা করে যদি তিনি মনে করেন তবে আমাকে দলের মনোনয়ন নিবেন।
আপনি তো ঝিনাইদহ সদর আসনের সংসদ সদস্য তাহলে কেন অন্য উপজেলার সংসদ সদস্য হতে ইচ্ছুক জানতে চাইলে অপু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ঝিনাইদহ জেলার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ জেলার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করেছেন। আর অন্য উপজেলা বলতে কিছু নাই, আমি তো আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, আওয়ামী লীগকে মনে-প্রাণে ধারণ করি। দলের প্রতি আনুগত্য থেকেই আমি শৈলকূপা উপজেলা আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া আমাদের দলেরও অনেকেই আছেন, নিজ উপজেলা রেখে অন্য উপজেলার এমপি হয়েছেন। রাজনীতি করি মনোনয়ন চাইতেই পারি, দেয়া বা না দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ও দলের সিদ্ধান্ত।
ঝিনাইদহ-১ শৈলকূপা আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কীভাবে কাজ করতে চান জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখেই কর্মপরিকল্পনা সাজাতে হয়, পরিবর্তন করতে হয়, পরিবর্ধন করতে হয়। এই মূহুর্তে অগ্রিম কিছু বলা শোভনীয় নয়। তবে এটুকু বলতে পারি, আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি ও শৈলকূপা মাটি ও মানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ভাইয়ের রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা হবে অন্যতম কাজ। এছাড়া সাধারণ মানুষের কাছে আমার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাও অন্যতম নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণের রাজনীতি করে। দেশের মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতায়। মানুষের জন্য যদি কিছু করতে পারি তবে সেটাই হবে আমার রাজনৈতিক জীবনের স্বার্থকতা ।
কথা প্রসঙ্গে অপু আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের জন্য একটা স্মার্ট ওয়েব সাইট তৈরি করতে চাই, সেখানে এক ক্লিকেই ঝিনাইদহ জেলার অন্তর্গত পাচটি উপজেলার একদম ওয়ার্ড পর্যন্ত আওয়ামী লীগসহ ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সকল সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা, ফোন নাম্বার,ওয়ার্ড/ ইউনিট, এককথায় সকল তথ্য সেখানে সন্নিবেশিত থাকবে। আওয়ামী লীগ হবে স্মার্ট, আওয়ামী লীগের স্মার্ট লিডারশিপ দেখে আগামী প্রজন্ম শিখবে, জানবে এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী হবে। সেই স্মার্ট ওয়েব সাইট তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে চাই।
সফিকুল ইসলাম অপু, ২০০২-২০০৫ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে প্রবেশ । ২০০৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৪ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের ষড়যন্ত্রের কারণে নির্বাচনে পরাজিত হন।
সফিকুল ইসলাম অপু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বাবা এ বি এম গোলাম মজিদ বঙ্গবন্ধুর সময়ে ১৯৭০ সালে জাতীয় প্রাদেশিক পরিষদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযুদ্ধের ১ নং সেক্টর রানা ঘাটে দায়িত্ব পালন করেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের স্বাক্ষরকারী এবং বৃহত্তর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পরবর্তীতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকূপা) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ১৬ মার্চ মারা যান। তার মৃত্যুর পর শূণ্য হওয়া আসনটিতে ভোটগ্রহণের জন্য ৫ জুন তারিখ ঠিক করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর