শিরোনাম
অতি বাম-অতি ডান সব এক হয়ে গেছে- প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে যারা দেউলিয়া তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবি অনবরত গীবত গাইছে। সরকার উৎখাতে কাজ করছে। তাদের মূল লক্ষ্য সরকার উৎখাত। অতি বাম-অতি ডান সব এখন এক হয়ে গেছে। অপরাধ কি আমাদের?
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন,শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অগ্রযাত্রাটা আমরা করতে পারবো। পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যে ১৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। বাংলাদেশ যে পারে এটাই তার প্রমাণ।
রাষ্ট্রপ্রধান আরও বলেন, মানুষ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে। জনগণের আস্থা বিশ্বাস একমাত্র শক্তি। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে সবসময় ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই পথ চলতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশ ও মানুষের ওপর আস্থা রেখেই দেশ চালায়। কিছু রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবী অনবরত দেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের চোখে কিছুই ভালো লাগে না। বাংলাদেশ তো পেছাচ্ছে না। এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে। দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা দল যাঁদের কোন মাথা মুন্ডু নেই। যাঁদের জন্মই সামরিক বাহিনীর পকেটে তারা আবার ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলে। সব দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে, পিছিয়ে আছি কোথায় আমরা? ক্ষমতায় বসে লুটপাট করতে পারছে না বলেই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় নেমেছে বিএনপি। বিএনপি এমন একটি দল, যাদের কোনো মাথামুণ্ডু নেই। তারা শুধু পারে অনলাইনে নির্দেশনা দিতে। ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে অপকর্ম করেছে, তা মানুষের ভুলে যাওয়া উচিত না। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা দলের কাছে আজ গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়। যারা ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তারা কেনো বুঝছে না দেশবাসী এই নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে খুশি। জনগণের আস্থা আওয়ামী লীগ পেয়েছে, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ তাদের উপকার করে।
পরমানু শক্তিধর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে…… মানবাধিকার নিয়ে সবক দেয় বাংলাদেশকে। মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করত সেখানকার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধিতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কী জুলুমটাই না করল আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর জবাব কী?
তিনি আরও বলেন, আমেরিকায় যেভাবে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে নির্যাতন করলো, তারা এখন মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে…যেভাবে নির্যাতন করে তারা মানবাধিকারের কথা বলে। আমি এসবের জবাব চাই।
প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীকে সাবধানে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে গরম পড়ছে সকলেই সাবধানে থাকবেন। জীবন জীবিকা চলবে তাও সাবধানে থাকতে হবে। পহেলা আষাঢ় থেকে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপন শুরু করবেন বলেও জানান শেখ হাসিনা ।
আপনার মতামত লিখুন :
Leave a Reply
More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর