রাতে মুখোমুখি পিএসজি-ডর্টমুন্ড
সেই ২০১৩ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে গিয়েছিল জার্মান ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কাকতালীয়ভাবে সেই ফাইনালটি ছিল ওয়েম্বলিতে। আবারও ওয়েম্বলির দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। প্যারিসে ৯০ মিনিট পরাজয় এড়াতে পারলেই ওয়েম্বলির টিকিট পাবে দলটি। এর জন্য বাধা কিলিয়ান এমবাপ্পের প্যারিস সেইন্ট জার্মেই।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল নিশ্চিতের এই লড়াইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মাঠে নামছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই-বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। নিজেদের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে আজ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে নামবে জার্মান জায়ান্টরা। অন্যদিকে, নিজেদের মাঠে কামব্যাকের অপেক্ষায় পিএসজি।
মঙ্গলবার (৭ মে) নিজেদের ঘরের মাঠ পার্ক দ্যু প্রিন্সেসে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে পিএসজি। ম্যাচটি শুরু বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
প্রথম লেগে হারের পর যদি দ্বিতীয় লেগে ফরাসি জায়ান্টরা কামব্যাক করতে পারে তাহলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নতুন এক ইতিহাস লিখবে এমবাপ্পে-ডেম্বেলেরা। ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ও সেমির প্রথম লেগ হারার পরও ফাইনালে খেলবে প্যারিসিয়ানরা।
এদিকে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে দলদুটি ছিল একই গ্রুপে। সেপ্টেম্বরে হওয়া সেই ম্যাচে পিএসজি ২-০ গোলে জয় পেলেও। আজ পিছিয়ে থেকেই সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামার অপেক্ষায় লুইস এনরিকের শিষ্যরা। তবে নিজেদের ভেন্যুতে পরিসংখ্যানের দিক থেকে এগিয়েই থাকছে পিএসজি। মুখোমুখি দেখায় শেষ তিনবারের চেষ্টাতেও পিএসজির মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পারেনি ডর্টমুন্ড।
হোম ম্যাচ বলে আত্মবিশ্বাসীও পিএসজি। তবে পুরোনো সেই রেকর্ড ধরে রাখা এবার পিএসজির জন্য কষ্ট হবে। নিজেদের শেষ সাত ম্যাচেই ক্লিন শিট রাখতে পারেনি পিএসজি। ঘরের মাঠে শেষ চার ম্যাচে ৮ গোল খেয়েছে তারা।
তবে আক্রমণাত্মক ফুটবল আর জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না পিএসজি কোচ এনরিকে। তিনি বলেন, ‘ফ্রেঞ্চ ভাষায় আমি শুধু একটি বাক্যই বলতে পারি। তা হলো ‘আমরা জিতবো’। সেজন্য প্রতিপক্ষ থেকে আমাদের বেশি ভালো খেলতে হবে। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করতে হবে। আর এ মানসিকতা প্রথম মিনিট থেকে দেখাতে হবে।’
এদিকে প্রথম লেগে ১-০ গোলের জয় আদায় করে নেওয়ার কৃতিত্ব অনেকাংশেই ডর্টমুন্ডের ডিফেন্ডারদের। সিগনাল ইদুনা পার্কে কিলিয়ান এমবাপ্পকে বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন হামেলস-মাতসেনরা। এবার ঘরের মাঠে ফরাসি তারকাকে আটকে রাখতে পারবে কি না তা দেখার বিষয়।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে কোন গোল খায়নি বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। বিপরীতে আসরে শেষ সাত ম্যাচে গোল হজম করেছে পিএসজি। তাই প্রতিপক্ষের রক্ষণ দেয়াল গুরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নিজেদর জাল অক্ষত রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে স্বাগতিকদের।
বরুশিয়া কোচ তার্জিক বলেন, ‘প্রথম লেগে আমরা দারুণ ফুটবল খেলেছি। যদিও লিড খুব একটা বড় নয়। আর পিএসজিও ভয়ঙ্কর প্রতিপক্ষ। তবে হোম কিংবা অ্যাওয়ে, যেখানেই হোক আমরা জয়ের জন্য আশাবাদী।’
যেহেতু এ ম্যাচ কোনোমতে গোলশূন্য ড্র বা যেকোনো ব্যবধানে ড্র করলেও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডই ফাইনালে উঠে যাবে, তাই কিছুটা হলেও তারা চাপমুক্ত থাকবে। অপরদিকে, পিএসজিকে ফাইনালে উঠতে হলে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দলের লড়াইয়ে পিএসজি ও ডর্টমুন্ডের সমান দু’টি করে জয় এবং একটি ড্র। এখন পর্যন্ত দুই দলই মুখোমুখি দেখায় জিতেছে শুধু হোম ম্যাচেই, একে অপরের মাঠে জিততে পারেনি কেউই। এই পরিসংখ্যান আশা যোগাবে এমবাপ্পে দের।
সোনালী বার্তা/এমএইচ