সান্তিয়াগো আজ রাতে মঞ্চায়িত হবে রিয়াল-বায়ার্ন রোমাঞ্চের দ্বিতীয় পর্ব
কোন দল জিতবে আগামী ১ জুন ওয়েম্বলির ফাইনালের টিকিট? ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্নের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে লন্ডনগামী বিমানে উঠতে দারুণ আত্মপ্রত্যয়ী রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি। তাঁর এই অগাধ আত্মবিশ্বাসের কারণ দলটার নাম রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল যে! বড় মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরাটা যে দলের রক্তে মিশে। আত্মপ্রত্যয়ী কণ্ঠে আনচেলোত্তি বলছিলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী। কারণ এই দলটা রিয়াল মাদ্রিদ।
আমাদের এমন একটা দল আছে। আমি আশাবাদী, সমর্থকরাও আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা মনে করি, আমরাই জয়ী হব।
গৌরবোজ্জ্বল সোনালি অতীতও রিয়ালের পক্ষে।
বায়ার্নের বিপক্ষে সর্বশেষ আটটি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে কোনো হার নেই লস ব্লাংকোদের। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে তাদের রেকর্ড আরো চোখ-ধাঁধানো। বায়ার্নের বিপক্ষে নিজ মাঠে সর্বশেষ সাত ম্যাচে একটি ড্র ছাড়া বাকি সব কটি জিতেছে রিয়াল। অন্যদিকে রিয়ালের বিপক্ষে সর্বশেষ ১৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ ম্যাচের প্রতিটিতে গোল হজম করতে হয়েছে বাভারিয়ানদের। বায়ার্নের বিপক্ষে ৯টি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে কোচ আনচেলোত্তির অপরাজিত থাকার বর্ণিল রেকর্ডও রিয়াল সমর্থকদের জন্য দারুণ সুখবর।
বায়ার্নকে তাই বলে একদম খাটো করে দেখছে না রিয়াল। বাভারিয়ানদের প্রতি আনচেলোত্তি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। সেমির প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে সেই শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছে থমাস ট্যুখেলের দল। রিয়াল কোচ তা আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শিষ্যদের, ‘ওদেরও আছে অসাধারণ ইতিহাস। চ্যাম্পিয়নস লিগে অনেক সাফল্য আছে বায়ার্নেরও। আমরা ওদের শ্রদ্ধা করি। প্রথম লেগে ওরা আমাদের চেয়েও ভালো খেলেছে।’
অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হ্যারি কেইনকে বোতলবন্দি করে রেখেছিল রিয়াল। তবে লেরয় সানে এবং জামাল মুসাইলা বারবার ভীতি ছড়িয়েছে তাদের গোলমুখে। চোট নিয়ে তেমন দুর্ভাবনা নেই বায়ার্নের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই রিয়ালেরও। বরং চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ফিরছেন। কার্ডজনিত নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরছেন রক্ষণভাগের দানি কারভাহালও।
এমনিতে বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠা রিয়ালের সহজাত। নিজ সমর্থকদের সামনে রিয়াল আরো ভয়ংকর। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এমন একটি জাদুকরী রাতেরই প্রত্যাশা ভিনিসিয়ুসদের। তবে বায়ার্নও মরিয়া। আজ পা ফসকালে যে এ মৌসুমটা ট্রফিশূন্য থেকে যাবে! ইএসপিএন
সোনালী বার্তা/এমএইচ