চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে টার্মিনাল’ নির্মাণ কাজ এক ধাপ এগুলো
আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম বন্দরের মেগা প্রকল্প ‘বে টার্মিনাল’ নির্মাণের কাজ। বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ৫০০ একর খাস জমি নামমাত্র মূল্যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরকে। অর্থ পরিশোধ করে ভূমি বরাদ্দ নেয়ার জন্য গত সপ্তাহে চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্প যতো দ্রুত বাস্তবায়িত হবে, ততই উপকৃত হবে দেশের অর্থনীতি।
দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে থাকে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে। দেশের অর্থনীতির পরিসর বাড়ার কারণে প্রতিবছর বাড়ছে বন্দরের কর্মপরিধি। পরিস্থিতির প্রয়োজনে গ্রহণ করা হয় বহুল আলোচিত ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্প। অগ্রাধিকারভিত্তিক এ প্রকল্পের জন্য সাত বছর আগে ৬৭ একর ভূমি বরাদ্দ পেয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর। প্রকল্পটির জন্য আরও ৫০০ একর সরকারি খাস জমি বরাদ্দ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রথমে জেলা প্রশাসন এই জমির মূল্য এক হাজার ২৪১ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছিল। তবে গত ১১ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাত্র তিন কোটি টাকার প্রতীকি মূল্যে এই জমি বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
গত ২রা মে বন্দর কর্তৃপক্ষকে এই টাকা পরিশোধ করার জন্য চিঠি দিয়েছে জেলা প্রশাসন। চিঠিতে কাট্টলী, আগ্রাবাদ ও পতেঙ্গা সার্কেলের অধীনে বরাদ্দকৃত ভূমির বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, জমি বরাদ্দ পাওয়ায় ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্পের গতি বাড়বে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের বিভিন্ন কারিগরি দিকের পর্যালোচনা শুরু হয়েছে বলেও জানালেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, ‘বে টার্মিনাল’ প্রকল্প যতো দ্রুত চালু হবে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা তত বাড়বে। যা দেশের অর্থনীতিতেও বড় ভূমিকা রাখবে।
এই প্রকল্পের জন্য বনবিভাগের ১২৪ একর জায়গা ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বন্দোবস্ত পাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ।
সোনালী বার্তা/ এমএইচ