হার না মানা এক বীর: পাইলট আজিম জাওয়াদ
দেশের জন্য বড় ধরনের কোনো অর্জন নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে বীরত্ব দেখানোর গৌরবও নয়, তবুও পেশাগত দায়িত্ব পালনে গিয়ে জীবন বিলিয়ে দিয়ে হিরো বনে গেছেন পাইলট আসিম জাওয়াদ। দেশবাসীর কাছে উপাধি পেয়েছেন হার না মানা এক বীর হিসেবে।
বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানি এড়াতে জীবনের ঝুঁকি নিতে একটুও পিছপা হননি বিমানবাহিনীর ঝান্ডা ওড়ানো লড়াকু এ বৈমানিক।
জানা যায়, আসিম সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি পাস করেন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগদান করেন এবং ২০১১ ক্যাডেটদের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান সোর্ড অব অনার প্রাপ্তিসহ জিডি শাখায় কমিশন লাভ করেন। চাকরির পাশাপাশি ২০১২ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস থেকে বিএসসি পাস করেন।
স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ চাকরিকালীন সময়ে তিনি বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি ও ইউনিটে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। পেশাদারি দক্ষতা ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘মফিজ ট্রফি’, ‘বিমানবাহিনী প্রধান ট্রফি’ ও বিমানবাহিনী প্রধানের প্রশংসাপত্র লাভ করেন। এ ছাড়া ভারতীয় বিমানবাহিনীর কোর্সে অংশগ্রহণ করে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘Chief of Air Staff’s Trophy for Best in Flying অর্জন করেন।
চাকরিকালীন সময়ে তিনি দেশে-বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করে সফলতার সঙ্গে তা সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি চীন থেকে ফাইটার পাইলটস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্স, ভারত থেকে অপারেশনাল ট্রেনিং ইন অ্যাভিয়েশন মেডিসিন ফর ফাইটার পাইলটস কোর্স, বেসিক এয়ার স্টাফ কোর্স ও কোয়ালিফাইড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর্স কোর্স সম্পন্ন করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সে সময় বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানবন্দরের পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে বিমানটিকে জনবিরল এলাকায় নিয়ে যান দুই পাইলট। এর ফলে অনেক বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায় স্থানীয় মানুষজন।
সোনালী বার্তা/এমএইচ