পরাজয়ের শঙ্কায় থাকা মায়ামির অবশেষে জয়
![](https://sonalibarta.com/wp-content/uploads/2024/05/messi-ruiz-miami-20240407074722-1-700x390.jpg)
দুই গোলে পিছিয়ে ইন্টার মায়ামি। প্রথমার্ধ শেষ হতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। এমন সময় ফ্রি-কিক আদায় করে নেন লিওনেল মেসি। কিন্তু সেই ফ্রি কিক নিজে নিতে পারেননি মেজর লিগ সকারের নিয়মের কারণে। মেসি না পারলেও ফ্রি-কিক থেকে ঠিকই গোল এনে দেন মাতিয়াস রোহাস। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মায়ামি।
এই মৌসুমে ধীর গতির শুরুতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে মায়ামি। তাতে শুরুতে ধাক্কাও খেতে হচ্ছে তাদের। এই ম্যাচেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ২২ মিনিটে অগ্রগামিতা পেয়ে যায় মন্ট্রিয়ল। সাবেক মায়ামি খেলোয়াড় ব্রাইস ডিউক গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে। তার পর তাদের খেলোয়াড়কে বক্সে ফেলে দিলে মন্ট্রিয়ল মনে করেছিল তারা বুঝি পেনাল্টি পেয়ে গেছে! কিন্তু রেফারি তাদের আবেদনে সাড়া দেননি।
গত মার্চে খর্ব শক্তির মিয়ামির বিপক্ষে অপ্রত্যাশিত জয় পেয়েছিল মন্ট্রিয়ল। ৩২ মিনিটে স্কোর ২-০ করে এবারও চমক দেখানোর অপেক্ষায় ছিল তারা। গোলটি করেছেন ভিলসেইন্ট।
পরাজয়ের শঙ্কায় থাকা মায়ামি অবশেষে গোলের দেখা পায় ৪৪ মিনিটে। তখন কড়া চ্যালেঞ্জে হালকা চোট পেয়ে কিছু সময়ের জন্য মাঠ ছেড়ে যান মেসি। তিনি যখন সাইডলাইনে, মায়ামি তখনই পায় ফ্রি কিক। অথচ এই ফ্রি কিকের সময় ভয়ানক হতে পারতেন আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তার অনুপস্থিতিতেও অবশ্য ব্যর্থ হয়নি দল। প্যারাগুয়ের মাতিয়াস রোজাস ফ্রি কিক থেকে দারুণ ফিনিশিংয়ে স্কোর ২-১ করেছেন।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে সমতাও ফেরায় তারা। গ্রেসেলের নিচু কর্নার থেকে ক্লোজ রেঞ্জের শটে গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ। যা এই মৌসুমে তার ১১তম গোল। বিরতির পর ভিন্ন এক দলে পরিণত হয় মায়ামি। ৫৯ মিনিটে তুলে নেয় জয়সূচক গোল। স্কোর করেছেন ক্রিমাসচি। শেষ দিকে মন্ট্রিয়ল চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। কিন্তু দারুণ দৃঢ়তায় ১৩ ম্যাচে অষ্টম জয় তুলে নেয় মিয়ামি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ