সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন

গণিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৩১১ Time View
Update : সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার পাসের হার কিছুটা বাড়লেও জিপিএ-৫ কমেছে। জিপিএ-৫ কমে যাওয়া ও কিছু বোর্ডে ফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে গণিতের খারাপ ফলাফল। পাশাপাশি কিছু বোর্ডে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়েও শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছে। এ দুটি বিষয়ের অস্বাভাবিক ফল হওয়ায় অনেকে ফেল করেছে, আবার অনেকে জিপিএ-৫ পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হয়েছে।

বিষয়ভিত্তিক ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাধারণ ৯টি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে (কারিগরি বাদে) এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৯ জন। এরমধ্যে পাস করেছে ১৫ লাখ ৭২ হাজার ৪৩২ জন। অর্থাৎ, ১০টি বোর্ডে ফেল করেছে ৩ লাখ ১৮ হাজার ৬২৭ জন। এরমধ্যে শুধু গণিতে ফেল করেছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০২ জন। অর্থাৎ, ফেল করা শিক্ষার্থীদের অর্ধেকের বেশি গণিতে অকৃতকার্য হয়েছে।
শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, গণিতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যায় থেকে গণিতের দুর্বলতা শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফলের পেছনে মুখ্য কারণ।

কোন বোর্ডে গণিতে ফেল কত

বোর্ডভিত্তিক ফলাফলে গণিতে এ বছর সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে মাদরাসা বোর্ড। বোর্ডটিতে ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ শিক্ষার্থীই গণিতে ফেল করেছে। এরপর রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে গণিতে ফেলের হার ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ। কুমিল্লা বোর্ডে ১২ দশমিক শূন্য ০৪ শতাংশ, দিনাজপুরে ১১ দশমিক ৯০ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭ দশমিক ৬৩, বরিশালে ৭ দশমিক শূন্য ৪০ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী গণিতে ফেল করেছে।

বাকি বিষয়গুলোতে ফেলের হার

গণিত ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অন্য বিষয়গুলোতে ফেলের হার তুলনামূলক কম। এরমধ্যে বাংলায় ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ, ইংরেজিতে ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ, পদার্থবিজ্ঞানে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ, রসায়নে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ, আইসিটিতে ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, হিসাববিজ্ঞানে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও পৌরনীতিতে ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ড. সমীর কুমার ভৌমিক বলেন, সব বিষয়েই দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন। তবে গণিতের গুরুত্বটা আরও বেশি। গণিত চর্চার বিষয়। এটা মুখস্ত করার বিষয় নয়। শিক্ষার্থীরা যত বেশি গণিত চর্চা করবে, তত বেশি দক্ষ হয়ে ওঠবে। গণিতে দুর্বলতা দূর করতে অবশ্যই গণিতচর্চায় জোর দিতে হবে। এজন্য প্রশিক্ষিত ভালো শিক্ষক থাকাটা জরুরি।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর