মেসির ন্যাপকিন পেপার বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
প্রায় দুই যুগ আগে মেসিকে দলে ভেড়ানোর তর সইছিল না তৎকালীন বার্সা স্পোর্টিং ডিরেক্টর কার্লোস রেক্সাসের। উচ্চতা ও বয়স বিবেচনায় মেসির সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিল ক্লাবের নীতিনির্ধারণী মহল। রেক্সাসের অবশ্য এত অপেক্ষার সময় ছিল না। মেসির পরিবারকে মধ্যাহ্নভোজে ডেকে ঐতিহাসিক চুক্তিপত্র সেরে ফেলেন একটা ন্যাপকিন পেপারে।
গত মার্চে নিলামে তোলা হয়েছিল সেই ন্যাপকিন পেপার। নিউইয়র্ক ও প্যারিসে প্রদর্শনী শেষে ঐতিহাসিক এই ন্যাপকিন পেপার তোলা হয় অনলাইন নিলামে। এটির নূন্যতম মূল্য ধরা হয়েছিল প্রায় ৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৯ লাখ টাকারও বেশি।
শেষ পর্যন্ত ন্যাপকিন পেপারটি বিক্রি হলো ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে, টাকার হিসাবে যা ১১ কোটি। সাড়ে ৬ বাই সাড়ে ৬ ইঞ্চির এই ন্যাপকিনের নিলামপ্রক্রিয়ার দায়িত্বে ছিল যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস। ১৮ মার্চ নিলাম শুরু হয়, চলে ২৭ তারিখ পর্যন্ত।
বার্সেলোনায় ১৪ ডিসেম্বর, ২০০০ সালে মিনগেলা, হোরাশিও আর বার্সার ক্রীড়া পরিচালক কার্লোস রেক্সাসের উপস্থিতিতে পূর্ণ দায়িত্বের সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্কে লিওনেল মেসিকে সই করানোর ব্যাপারে একমত হওয়া গেল।’ নীল কালিতে স্প্যানিশ লেখার বাংলা অনুবাদ এমনটাই।
বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি করে মেসি কী করেছেন, তা কারোরই অজানা নয়। ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য এমন কোনো ট্রফি নেই, যা তিনি জেতেননি। ২০২১ সালে বার্সা ছাড়ার আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগাসহ ৩৪টি ট্রফি জেতেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। ক্লাবকে সামনে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মেসি নিজেকে নিয়ে গেছেন কিংবদন্তি কাতারের প্রথম সারিতে।
এমএইচ