সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

কাস্টমস কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৯৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪

গতকাল সোমবার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপসহকারী পরিচালক সবুজ হোসেন বাদী হয়ে এ দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়।

এরমধ্যে এক মামলায় শুধু কাস্টমস কর্মকর্তা আবদুল বারিক ও অপরটিতে তাকে ও তার স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে।
আবদুল বারিক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার রশিদপুর এলাকার মৃত হাজী মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। তিনি আগ্রবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন

দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাৎ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবদুল বারিকের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, নির্দেশনা পেয়ে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর আবদুল বারিক সম্পদ বিবরণী জমা দেন।। এতে তিনি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদই অর্জন করেছেন। এছাড়া দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৪২ লাখ ২৪ হাজার ৬৭৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। কিন্তু দুদকের যাচাইয়ে দেখা যায়, তিনি ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকার অস্থাবর সম্পদের মালিক। এক্ষেত্রে আব্দুল বারিক ১ কোটি ২৩ লাখ ১৪ হাজার ৯২২ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য সম্পদ বিবরণীতে গোপন করেছেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আব্দুল বারিকের মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দায় রয়েছে ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৩২৮ টাকা। সেই হিসাবে তার নিট সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫ লাখ ৫০ হাজার ২৭২ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮ হাজার ৯৭৮ টাকার সম্পদ রয়েছে। এরমধ্যে তার গ্রহণযোগ্য আয় ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৬ হাজার ৮২২ টাকা। এক্ষেত্রে তার সম্পদের চেয়ে আয়ের উৎস ৭০ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬ টাকা কম। অতএব তিনি ৭০ লাখ ৬২ হাজার ১৫৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।
এছাড়া আবদুল বারিক ও তার স্ত্রী ফেরদৌস ইয়াসমিন খানমের বিরুদ্ধে করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম তার স্বামীর সহযোগিতায় এক কোটি ৯২ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। সেই সঙ্গে ৩২ লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। স্বামীর অবৈধ আয়ে অর্জিত অর্থ বৈধ করার অপচেষ্টা করে উক্ত সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন ফেরদৌস ইয়াসমিন খানম বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর