আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার আশ্রয় শিবিরে ‘আধিপত্য বিস্তারকে’ কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত এক রোহিঙ্গা কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল জানান, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সোয়া ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের বরাতে ইকবাল বলেন, “রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র দল সক্রিয় রয়েছে। বুধবার সকালে উখিয়ার ৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লক ও এফ-ব্লকে আরএসও এর কমান্ডার মো. হারুন ওরফে মুইচ্ছা হারুনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ সদস্য অস্ত্র হাতে মিছিল করে।
“এ সময় ২০০-৩০০ জন সাধারণ রোহিঙ্গা উত্তেজিত হয়ে একই ক্যাম্পের আরএসও নেতা মো. রফিকের বসতঘরে হামলা চালায়। তখন আরএসও সদস্যরাও এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে পাঁচজন আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাশের ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।”
এডিআইজি বলেন, “একই সময়ে উত্তেজিত রোহিঙ্গারা আরএসও সদস্য সন্দেহে ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ই-১ ব্লকের বাসিন্দা মো. ছিদ্দিকের ছেলে মো. শফিককে মারধর করে। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মা নুর বাহারও হামলায় আহত হন।
নিহত ১৭ বছর বয়সী মো. শফিক উখিয়া ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-১ ব্লকের মো. ছিদ্দিকের ছেলে।
পরে স্থানীয়রা মা-ছেলেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুতুপালং এর এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় শফিকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকের মৃত্যু হয়।”
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
সোনালী বার্তা/এমএইচ