আর কবে লজ্জা হবে বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সিরিজ হার

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ইতোমধ্যে ২-০ ব্যবধানে হেরে গেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তারপরও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দাবি, তার দলের ব্যাটারদের কারোরই স্কিলের ঘাটতি নেই, মানসিকতা পরিবর্তন করলে উন্নতি সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে। স্বাগতিকদের দেওয়া ১৪৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে ১৩৮ রানে। এভাবে হারলেও ব্যাটারদের দক্ষতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই শান্তর, ‘আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। আমরা মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট হারিয়েছি, এ কারণেই আমরা হেরেছি। আমরা ভালো খেলিনি, কিন্তু ভালো পরিকল্পনা নিয়ে পরের ম্যাচে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদের স্কিলে কোনও ঘাটতি নেই।
দ্বিতীয় ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যাটারদের মধ্যে রানের দেখা পাননি সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিমরা। শান্ত, সাকিব আল হাসান ও তাওহীদ হৃদয় ভালো শুরু পেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। শেষ চার ওভারে ২৬ রান প্রয়োজন থাকলেও ক্রিজে থাকা সাকিব দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচেও ভুগতে হয়েছে ব্যাটারদের।
প্রথম ম্যাচ হারের পর শান্ত ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছিলেন, ‘(ব্যাটিং) নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কারণ, প্রত্যেক ব্যাটারই তাদের দক্ষতা নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবাই জানি, টপ অর্ডারকে ভালো খেলতে হবে। ব্যাটিং ইউনিটের খারাপ করার জন্য আমরা সবাই দায়ী। ব্যাটাররা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গায় কাজ করছি। আমরা আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে ভালোভাবে ফিরে আসবো।
শান্ত বারবার দাবি করছেন ব্যাটিং নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু বিশ্বকাপ যতই এগিয়ে আসছে, ততই চিন্তা বাড়ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তাটা ক্রমশই বাড়ছে। এভাব চলতে থাকলে আরও একটি বিশ্বকাপে খালি হাতে ফেরার পথ ধরতে হবে।
সোনালী বার্তা/ এমএইচ