দাপুটে খেলেই হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছেন বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্রিকেটে নবাগত দলের কাছে সিরিজ পরাজয় বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ক্রিকেট সামর্থ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। শঙ্কা ছিল হোয়াইটওয়াশের মতো বড় লজ্জারও। তবে সেই অপমান থেকে রক্ষা পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। সিরিজের শেষ ম্যাচে দাপুটে খেলেই হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে টিম টাইগার্স।
গতকাল শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ গ্রাউন্ডে স্বাগতিকদের সঙ্গে হওয়া তিন ম্যাচের শেষটিতে ১০ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশের পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০৪ রানে থামায় বাংলাদেশ। জবাবে দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৫০ বল বাকি থাকতেই ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১০৫ রানের স্বল্প টার্গেটে দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। অবশ্য বাংলাদেশ আজকের ম্যাচে তিনজন স্বীকৃত ওপেনার নিয়ে নামে। তানজিদ-সৌম্যর সঙ্গে লিটন দাসও ছিলেন। তবে তানজিদ-সৌম্যর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে তার আর নামতে হয়নি।
আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং এপ্রোচও ছিল আগের দুই ম্যাচের চেয়ে আলাদা। দুই ওপেনারই সাবলীল ব্যাটিং করেছেন। ১৩৮.০৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা তানজিদ তামিম নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন। ৪২ বলে ৫ চার ও ৩ ছয়ে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আরেক প্রান্তে অন্য ওপেনার সৌম্য মাত্র ২৮ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪৩ রান করেন। তাই বলতে গেলে হেসে খেলেই লক্ষ্যে পৌঁছায় টিম টাইগার্স।
এর আগে শেষ ম্যাচে টস ভাগ্য ভালোভাবে কাজে লাগায় বাংলাদেশ। যদিও শুরুতে খাপছাড়া বোলিংয়ে ভালো শুরু পায় স্বাগতিকরা। তবে শেষে মোস্তাফিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও রিশাদের কিপটে বোলিংয়ে ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহআয়োজকরা।
কোরি অ্যান্ডারসনের ১৮ বলে ১৮ আর শ্যাডলি ভ্যান শ্যালউইকের ১৭ বলে ১২ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ। টাইগারদের পক্ষে ফিজের ৬ উইকেট ছাড়াও তানজিম সাকিব, রিশাদ ও সাকিব পায় একটি করে উইকেট
সোনালী বার্তা/এমএইচ