বিদ্যুৎহীন উপকূলীয় অঞ্চল, অচল মোবাইল নেটওয়ার্কও

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ভোলা ও আশপাশের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করলেও দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার রাত ৯টার পর থেকে এ অঞ্চল অন্ধকারে। কোথাও বিদ্যুৎ নেই। অনেক এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। ভেঙে গেছে বহু বাড়িঘর। উপকূলবর্তী অন্যান্য জেলাতেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে।
রেমালের তাণ্ডবে দ্বীপজেলা ভোলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, সাগর মোহনার মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান জানিয়েছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিরূপণ করছে।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, গভীর রাতে সুন্দরবন সংলগ্ন মুন্সিগঞ্জ-শ্যামনগর সড়কের উপর ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে অনেক গাছ-গাছালি ভেঙে পড়ে। ফলে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ওই সময়ই শ্যামনগর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ দা-কুড়াল ও করাত দিয়ে গাছ কেটে রাস্তা যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করে তোলে।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল নাইম বলেন, ‘মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক সমস্যা ও চার্জ না থাকায় জরুরি প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহেরা নাজনীন জানান, ঝড়-বাতাস এবং ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপজেলায় সম্পূর্ণভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন রয়েছে। যাতায়াতের রাস্তায় একাধিক স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়েছে এবং অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে গেছে।
এদিকে, জেলার লালমোহন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ঘরের নিচে চাপা পড়ে মনেজা খাতুন (৫৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে নিজ বসতঘরের নিচে চাপা পড়ে মারা যান তিনি।
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা আ. হান্নান জানান, রাতের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে স্বামী ও ৫-৭ বছর বয়সী নাতিসহ মনেজা খাতুন ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ৪টার দিকে তীব্র ঝড়ে তাদের বসত ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় স্বামী আব্দুল কাদের ও নাতি বের হতে পারলেও মনেজা চাপা পড়েন। পরে প্রতিবেশীরা এসে মনেজা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ