বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাইপলাইন অনেকেটাই দুর্বল

এই কারণে জাতীয় দলে ব্যর্থ হয়েও ম্যাচের পর ম্যাচ খেলে যাচ্ছেন অনেক ক্রিকেটাররা। পাইপলাইন দুর্বল হওয়ার দায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও। লম্বা সময় ধরেই নিয়মিত হচ্ছে না ‘এ’ দলের সিরিজ। বিভিন্ন দেশের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সিরিজ খেলার মধ্য দিয়ে জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত হওয়া সম্ভব। কিন্তু এতদিন ধরে এই কাজটিই করতে পারছে না বিসিবি। সামনে অবশ্য জাতীয় দলের বাইরে ও আশপাশে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে ব্যস্ত সূচিতে ঢুকে যাচ্ছে বিসিবি।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। হাইপারফরম্যান্স ইউনিট ও বাংলা টাইগার্সের ক্রিকেটারদের মিশেলে শক্তিশালী ‘এ’ দল গঠন করবে বিসিবি। সেই দলটি পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে। কোন পক্রিয়ায় ‘এ’ দল গঠন করা হবে সেই ব্যাপারে ধারণা দিয়েছেন নির্বাচক প্যানেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক বলেছেন, ‘আমাদের এইচপি ও টাইগার্সের অনুশীলন শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের ‘এ’ দলের জন্য আলাদাভাবে অনুশীলন আয়োজন করতে হচ্ছে না। আমরা অনেক বড় সংখ্যার খেলোয়াড়দের থেকে ‘এ’ দলটা সাজাতে পারবো।
শুধু ‘এ’ দলের সফরসূচি নিয়েই পরিকল্পনা করছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাশাপাশি হাইপারফরম্যান্স ইউনিটের সফরও আছে। আগামী জুলাইতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে এইচপি দল। অন্যদিকে ‘এ’ দল খেলবে পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। পাশাপাশি ইমার্জিং এশিয়া কাপেও খেলবে ‘এ’ দলকে নিয়ে গঠিত ইমার্জিং দল। এ প্রসঙ্গে রাজ্জাক বলেছেন, ‘এ বছর আমাদের তিনটি ‘এ’ দলের সিরিজ হয়েছে। একটা বাংলাদেশে হবে, আরেকটা অস্ট্রেলিয়া হবে, অন্যটা পাকিস্তানে, আরেকটা ইমার্জিং এশিয়া কাপ। যদিও একটা এইচপির, যেহেতু যেখানে কোন বয়সের বাধা নেই, আমাদের ‘এ’ দলের খেলোয়াড়রা যেন লঙ্গার ভার্সনে খেলে আমরা সেটা নিশ্চিত করতে চাই।
রাজ্জাক ‘এ’ দলের সিরিজ নিয়ে আরও বলেছেন, ‘পাকিস্তানে আমাদের প্রপার ‘এ’ দলের সফর আছে, লঙ্গার ভার্সন আর ওয়ানডে ম্যাচ। এটা আগস্টে হবে। আর অস্ট্রেলিয়াতে আমাদের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আছে, ওয়ানডেও আছে। আমরা সেখানে মিক্স আপ করে পাঠাতে চাই। আর বাংলাদেশে প্রপার ‘এ’ দলের সিরিজ আছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। ওয়ানডে থাকবে, চারদিনের খেলা থাকবে।
টেস্ট ফরম্যাটে এখন খাবি খাচ্ছে বাংলাদেশ দল। অনিয়মিত টেস্ট খেলার কারণে এই ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত কূল কিনারা করতে পারছেন না সাকিব-মুশফিকরা। রাজ্জাক মনে করে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে খেলার মাধ্যমে লংগান ভার্সন ক্রিকেটে ক্রিকেটারদের দারুণ উপকার হবে, ‘এটা আমাদের জন্য খুব বড় একটা সুযোগ, যেহেতু লঙ্গার ভার্সন হবে অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে। এখনও যেহেতু আমরা অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলিনি, এই একটা বড় সুযোগ। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের জন্যও ভালো হবে। ওদের কন্ডিশনে ভালো খেলতে পারলে অন্য কন্ডিশনেও ভালো করা খুব সহজ হয়ে যাবে।
সোনালী বার্তা/এমএইচ