আইন নীতি কৌশলপত্র আছে, যথাযথ প্রয়োগ নেই: ড. শামসুল আলম
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণে আমরা একশ বছরের পরিকল্পনা করেছি যা বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ পৃথিবীর ৭ম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। আমরা ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বলেছি, নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তাপমাত্রা কমাতে হলে জলাধার সৃষ্টি করতে হবে। পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে, ঢাকার তাপমাত্রাও বাড়ছে। সত্তরের দশক এবং গত দশকের তুলনা করলে আমরা দেখতে পাই ঢাকার তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের আইন, নীতি এবং কৌশলপত্র আছে। কিন্তু তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। আইন এবং নীতি বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে এবং নদীকে বাঁচাতে হলে নদী রক্ষা কমিশনকে অবশ্যই বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল (সিপিআই) এবং ইউএসএআইডি’র যৌথ আয়োজনে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার পরিবেশ: পানি, বায়ু এবং শব্দ দূষণ বিষয়ে নীতি, আইনি কাঠামো ও জনআকাঙ্খা’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ, বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র ক্যাপসের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মজুমদার, বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চার সদস্য ক্যামেলিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম, বালু নদী মোর্চার নেতা এবং তুরাগ নদী মোর্চার নেতারা বক্তব্য দেন।
এমআর