‘বিপজ্জনক ফাইনালে’ শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পণ রিয়ালের

ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্য কেন সেটা বলে দেয় পরিসংখ্যান। ১৪বারের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন তারা। সর্বশেষ ১০ বছরে ৫ বার ফাইনালে উঠে শিরোপাও ঘরে তুলেছে তারাই। ষষ্ঠ ফাইনালে আজ শনিবার রাত ১টায় তাদের সামনে বাধা বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। যারা ২৭ বছরের আক্ষেপ মেটানোর অপেক্ষায়।
ওয়েম্বলির ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ আজ নিশ্চিত ফেভারিট। যাদের ডাগআউটে আছেন রেকর্ড চারবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু ইতালিয়ান কোচ জানেন প্রতিপক্ষ ডর্টমুন্ড বলেই নিশ্চিন্তে থাকা সম্ভব নয়। তার মতে, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটা ভীষণ বিপজ্জনকও।
বিপজ্জনক এই জন্যই বলছেন, সামান্যতম ভুল হলেই হাত ফসকে যেতে পারে ট্রফি। তবে উপভোগের মন্ত্রেই সব কিছু করতে চান তিনি, ‘আমরা এখানে উপভোগের মন্ত্রেই এসেছি। কিন্তু এটাও জানি এখানে ভুল হতে পারে। চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের ক্ষেত্রে শঙ্কাও আছে যে এটা হাত ফসকে যেতে পারে।
শঙ্কা কাজ করার কারণ অবশ্যই আছে। রিয়াল মাদ্রিদ টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল হলেও বরুশিয়া সর্বশেষ শিরোপা ঘরে তুলেছে ১৯৯৭ সালে। ২০১৩ সালেও ফাইনাল খেলেছে তারা। সেবার তাদের হৃদয় ভাঙে আরেক জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। ওয়েম্বলিতে দীর্ঘদিনের আক্ষেপ মেটাতে রিয়ালকে মরণ কামড় দিতে তারা মরিয়া হয়ে থাকবে। তাই সতর্ক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ ভাগ্যকেও পাশে চাইছেন, ‘সব কিছু ভালো মতো যেতে হবে। হতে হবে ভাগ্যবানও। সাফল্য খুবই কাছে। কিন্তু দুর্ভাবনাও কাজ করবে সকাল থেকে, সন্ধ্যার পর থেকে।
রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক নাচো জানিয়েছেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী হলেও নড়বড়ে আছেন মানসিকভাবে, ‘আমারও মানুষ। অনেকের কাছেই সপ্তাহটা নির্বিঘ্নের। কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য সেটা নয়। এটা বিশেষ মুহূর্ত। তাই নির্বিঘ্নে থাকা যাচ্ছে না।
অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখা মাদ্রিদের মজ্জাগত। আর ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্ট হলে সেটা আরও বেশি করে খাটে। সেমিতে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে পিছিয়ে পড়েও শেষ হাসি হেসেছে রিয়াল। আজও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াইয়ের পণ স্প্যানিশ জায়ান্টদের। দলটির অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার লুকা মদরিচ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই চাইবো লিড নিতে। কিন্তু এই বছরে আমরা এটা অনেকবার দেখিয়েছি যে, সব কিছু অনুকূলে না থাকলেও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করি।
সোনালী বার্তা/এমএইচ