জীবনের সেরা রাত, আনন্দাশ্রুতে বললেন বেলিংহ্যাম

প্রথম শিরোপার স্বাদ জুড বেলিংহ্যাম পেয়েছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জার্সিতে; ২০২০-২১ মৌসুমের জার্মান কাপ জিতে। সেখান থেকে এ মৌসুমেই তিনি পা রাখেন রেয়াল মাদ্রিদে। প্রথম মৌসুমেই পেলেন মুঠোভরে! স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছিলেন আগেই, এরপর জিতলেন লা লিগা, এবার উঁচিয়ে ধরলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। স্বপ্ন পূরণের আনন্দাশ্রু তাই আটকে রাখতে পারলেন না এই তরুণ।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শনিবারের ফাইনালে ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার আসরে ১৫তম শিরোপা জিতে নেয় রেয়াল। প্রথমার্ধে ঘিরে ধরা শঙ্কার মেঘ দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত হেডে সরিয়ে দেন দানি কারভাহাল। এরপর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
গোলের খাতায় নাম উঠতে পারত বেলিংহ্যামেরও। ৭৪তম মিনিটে কারভাহালের গোলের তিন মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ কড়া নেড়েছিল এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের দুয়ারে। কিন্তু তার শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
গোল না পাওয়ার হতাশা থাকলেও স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফিতে চুমু আঁকার আনন্দ কম নয় বেলিংহ্যামের। টিএনটি স্পোর্টসে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় উচ্ছ্বাসের ঢেউ তাই অশ্রু হয়ে ঝরতে লাগল ২০ বছর বয়সী এই ফুটবলারের চোখের কোণা দিয়ে। বললেন, জীবনের সেরা রাত-এমন অনুভূতির খেলা চলছে তার মনের গহীনে।
আমি সবসময় এই ম্যাচগুলো খেলার স্বপ্ন দেখেছি। জীবনের পথচলায় অনেক মানুষ বলবে, এমন কিছু করতে পারবে না…মাঝেমধ্যে সবকিছু কঠিন হয়ে পড়ে যখন মনে ভাবনা আসে, এত কষ্টের কি মানে আছে। তবে, আজকের মতো রাত সবকিছু অর্থবহ করে তোলে।
আমার বাবা-মায়ের মুখ দেখার আগপর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। অনেক রাত গেছে, তারা হয়তো সাতটার দিকে বাড়িতে থাকতে পারতেন; কিন্তু ১১-১২টার দিকেও আমাকে তারা ফুটবল মাঠে নিয়ে যেতেন। আমার ছোট ভাইও এখানে আছে, আমি তার জন্যও আদর্শ হতে চাই। আজকের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন, আমার জীবনের সেরা রাত।
রেয়ালের জার্সিতে অভিষেক মৌসুমেই তিনটি শিরোপা জয়, লা লিগায় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং লিগের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি-এত এত অর্জন অবিশ্বাস্য ঠেকছে বেলিংহ্যামের।
নিখুঁত মৌসুম এর চেয়ে ভালো কিছুর স্বপ্ন আমি দেখতে পারতাম না। আমার সতীর্থ, আমার পরিবার, এই দৃশ্যের পেছনের দল-ফিজিও এবং বাকি সবার প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ আমি। দারুণ দলীয় প্রচেষ্টার ফল।
সোনালী বার্তা/এমএইচ