বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:১১ অপরাহ্ন

মহানগর জেনারেল হাসপাতাল: সব থেকেও যেনো নেই কিছুই!

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১৮৯ Time View
Update : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪

সর্বাধুনিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) পড়ে আছে তালাবদ্ধ; একই অবস্থা হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটেরও (এইচডিইউ)। তবে রয়েছে সুসজ্জিত অপারেশন থিয়েটার; যদিও তাতে সিজার বাদে হয় না কোনো অস্ত্রোপচার। আধুনিক ডেন্টাল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে সবই অকার্যকর। বলা হচ্ছে, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের কথা। সব থেকেও যেনো কিছুই নেই ঢাকার দক্ষিণ সিটির অধীন এ হাসপাতালটিতে।
এ মহানগরে একটা আইসিইউ যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। বিশেষ করে সরকারি হাসপাতাল হলে তো কথাই নেই। অথচ এ হাসপাতালটিতে অলস পড়ে আছে ৮ থেকে ১০টি আইসিইউ মেশিনসহ সব বেড।

করোনাকালীন সময়ে ৮ বেডের আইসিইউ ইউনিট চালু করা হলেও ঠিকঠাক স্থাপনই (ইনস্টল) করা হয়নি তা। অব্যবহৃত হয়েই শেষ হয়ে যাচ্ছে কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পদ!

এর পাশেই ১০ শয্যার স্টেপ ডাউন ইউনিট (এসডিইউ), সেটাও তালাবদ্ধ। সপ্তাহে দুদিন এখানে করা হয় আল্ট্রাসনোগ্রাম আর এক্সরে।

মোটামুটি আধুনিক মানের একটি অপারেশন থিয়েটারও আছে এ হাসপাতালে। এতে বেকার পড়ে আছে সব আধুনিক যন্ত্রপাতি! কাজে লাগানো হচ্ছে খুব সামান্য অংশ। শুধুমাত্র সিজার ছাড়া বড় অস্ত্রোপচার করার সক্ষমতা নেই এখানে।

যেখানে নগরজুড়ে অন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য পা ফেলার জায়গা নেই, সেখানে এ হাসপাতালের অধিকাংশ বেডই শূন্য। চিকিৎসা নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও সংকটটা চিকিৎসকের।

দুপুর ২টার পর পুরো হাসপাতালে দায়িত্বে থাকেন মাত্র একজন চিকিৎসক। আবার হাসপাতাল পরিচালকই চালান প্যাথলজি বিভাগ। তবুও বিধি অনুসারে জনবল নিয়োগ দিতে পারছে না দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

দাঁতের চিকিৎসায় হাসপাতালটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরও দেড় বছর ধরে চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ রয়েছে বিভাগটি। আছে আল্ট্রাসনোগ্রাম আর এক্সরে করার ব্যবস্থাও। তবে সপ্তাহে মাত্র দুদিন আসেন চিকিৎসক। তাই বাকি পাঁচদিন আর হয় না এসব পরীক্ষা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসক নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতায় প্রায় অকেজো প্রতিষ্ঠানটি। এটা ব্যবহার করার মতো চিকিৎসক বা নার্সসহ প্রয়োজনীয় সাপোর্ট নেই। এখানে মূল সমস্যাই জনবল।

ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি পরামর্শক পরিচালক ডা. আম্মতে নূর ওয়াহিদা সুলতানা সময় সংবাদকে বলেন, মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৩২ জন। কিন্তু এখানে আছেন ১৫ জন। জরুরি বিভাগে থাকার কথা ৮ জন; কিন্তু কাজ করছেন ৪ জন। এভাবেই চলছে সব কাজ।

ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামছুল কবির বলেন, ‘কিছু পদ দীর্ঘদিন যাবত শূন্য রয়েছে। এখন আমরা সরাসরি নিয়োগের চেষ্টা করছি এবং সেই প্রক্রিয়া কিছুটা এগিয়েছেও।

শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, এগুলো সচল করার ইচ্ছা আমার আছে। কারণ এগুলোকে সচল না করলে ঢাকার অন্যান্য হাসপাতালগুলোর চাপ কমাতে পারবো না। সবকিছু মিলিয়ে কী করা যায়, তা নিয়ে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করছি।

এখনো প্রতিদিন বহির্বিভাগে গড়ে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী সেবা নেয় হাসপাতালটিতে।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর