শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

চীনের গোপন তথ্যে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের অভিনব হানা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ২৩৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪

বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা যত বাড়ছে ততই বাড়ছে গুপ্তচরবৃত্তির মতো দুর্ধর্ষ ও চ্যালেঞ্জিং কার্যক্রম। প্রতিপক্ষের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি মুদ্রা খরচ করছে পরাশক্তিগুলো।

বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী মার্কিন ও ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের ছড়ানো জালের কথা সবারই জানা। এমন কাজে পিছিয়ে নেই পরাশক্তি চীনও।

এবার খোদ চীনের অতি গোপনীয় শাখার কর্মকর্তাকেই গোয়েন্দাবৃত্তির জালে ফাঁসালো প্রতিপক্ষ যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে চীনের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিরি এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা এমআই–৬ চীনের সরকারি কর্মকর্তা দম্পতিকে তাদের গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বেইজিং। চীনের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইচ্যাটে এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

বেইজিংয়ের অভিযোগ, চীনের বিরুদ্ধে তাদেরই দুই কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ দেয় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই–৬।

অভিযুক্ত চীনা দুই কর্মকর্তা সম্পর্কে স্বামী–স্ত্রী। দুজনই চীনের একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার ‘অতি গোপনীয়’ বিভাগে চাকরি করতেন। অভিযুক্তদের মধ্যে স্বামীর ডাকনাম ওয়াং, আর স্ত্রীর নাম ঝোউ।

চীন সরকার বলছে, ২০১৫ সালে চীন–যুক্তরাজ্য শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচির অধীন যুক্তরাজ্যে লেখাপড়া করতে যান ওয়াং। তখন এমআই–৬–এর সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন।

তাকে নৈশভোজ ও ঘুরতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল ওয়াংয়ের ‘আগ্রহ ও দুর্বলতাগুলো’ ভালোভাবে বোঝা। পরে সুযোগ বুঝে ওয়াংকে যুক্তরাজ্য সরকারের হয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

বিনিময়ে ভালো পারিশ্রমিক ও নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি পান ওয়াং। প্রথমে এই প্রস্তাব নিয়ে দ্বিধায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজি হন এ চীনা কর্মকর্তা।

চীনের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াংয়ের পর তার স্ত্রী ঝোউকেও গোয়েন্দা হিসেবে নিয়োগ দেয় এমআই–৬। এমন এক সময় চীন এই অভিযোগ করল, যখন মাত্র এক মাস আগেই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে যুক্তরাজ্য।

সম্প্রতি চীন ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ বাড়ছে। যেমন এ মাসের শুরুতেই হংকংয়ের গোয়েন্দা সংস্থাকে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠা এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মেরিনের সদস্য ছিলেন।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর