বাগমারায় পালোয়ানের দাম হাঁকছেন ১৪ লাখ

রাজশাহীর বাগমারায় এবার ঈদে কালা মানিকের পরে পালোয়ানের দাম হাঁকছেন ১৪ লাখ টাকা। এই দাম পেলেই ছাড়বেন মালিক আসাদুল ইসলাম টিপু।
আসাদুল ইসলাম টিপুর বাড়ী উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হায়াতপুর গ্রামে। তিনি একজন সৌখিন গরু পালনকারী খামারি। তার খামারে সাড়ে তিন বছর ধরে একটি উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় লালন-পালন করে আসছেন। শারীরিক আকার আকৃতি ও বৈশিষ্ট্যের কারণে টিপু তার সখের ওই ষাঁড়ের নাম রেখেছেন পালোয়ান।
ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে সখের পালোয়ান বিক্রি করতে চান টিপু। বৃহৎ আকৃতির ষাঁড়টির দাম হাঁকিয়েছেন ১৪ লাখ টাকা।
হায়াতপুর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, খামারি আসাদুল ইসলামের স্বপ্ন উন্নত জাতের ষাঁড় ও গাভী পালন করে লাভবান হওয়ার। তিনি দেশের বিভিন্ন খামারিদের সফলতার গল্প ও ভাইরাল হওয়া ইউটিউবে থেকে বিভিন্ন উন্নত জাতের ষাঁড় ও গাভী পালনের ভিডিও দেখে উৎসাহি হয়ে নিজেই আরম্ভ করেন ষাঁড়, গাভীর খামার।
বাড়ির ভেতরে শয়ন কক্ষের পাশেই ছোট আকারের জায়গা তৈরী করে সেখানে রাখা হয় ষাঁড় ও গাভীগুলোকে। নিয়মিত নানা খাদ্য সরবরাহ করে নিজের সন্তানের মতই আদর যত্ন করে বড় করেন ষাঁড় ও গাভীগুলোকে। দিনে দিনে বেড়ে ওঠা ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে পালোয়ান।
বাড়ির ভেতরে বিশাল আকৃতির ষাঁড় রয়েছে এ খবর তার প্রতিবেশীরাই জানতেন না। দীর্ঘ এক বছর পর ষাঁড়টিকে বাড়ির বাইরে বের করে আনলে উৎসুক প্রতিবেশীদের নজরে আসে। ষাঁড়টিকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় নারী-পুরুষ উৎসাহি হয়ে বাড়িতে দেখতে ভীড় জমায়।
হায়াপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম সোনালী বার্তাকে জানান, সন্তানকে যেভাবে মানুষ আদর-যত্ন করে লালন-পালন করে ঠিক সেভাবেই প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে টিপু তার পালোয়ানের দেখাশোনা করেন। এখানকার অনেকেই জানে না তার বাড়ির ভেতর এতো বড় পালোয়ান রয়েছে। সম্প্রতি বাড়ির বাইরে বের করার কারণে অনেকেই তা দেখার জন্য ছুটে আসেন।
ষাঁড় পালনকারী আসাদুল ইসলাম টিপু জানান, তার ওই সখের পালোয়ানের পেছনে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকার খাবারসহ অন্যান্য খরচ করতে হয়।
এছাড়াও খাবারের পাশাপাশি দিনে ১০ থেকে ১২ বার গোসল করাতে হয়। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতে হয় তাকে। ষাঁড়টি তিনি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান বলে জানিয়েছেন।
সোনালী বার্তা/এমএইচ