পানি কমায় স্বস্তিতে সুনামগঞ্জের মানুষ

গত দুইদিন ধরে সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় কমতে শুরু করেছে ভাটির জেলার নদনদীর পানি। সেইসঙ্গে ঝলমলে রোদ ওঠায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মনে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেটের সীমান্তবর্তী কয়েকটি উপজেলায় ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বন্যা দেখা দেওয়ার পর টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে সুনামগঞ্জের সকল নদ নদীর পানি। ডুবে যায় তাহিরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও মধ্যনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট। এতে একদিকে যেমন ভোগান্তি পোহাতে হয় নিম্নাঞ্চলের ২ লাখ বাসিন্দাদের তেমনি বন্যা আতঙ্ক দেখা দেয় জেলার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের মনে।
তবে গত সোমবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলায় বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢল না নামায় কমতে শুরু করেছে সুরমাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। সেইসঙ্গে সকাল থেকে প্রখর রোদ ওঠায় স্থানীয় লোকজনের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পাহাড়ি ঢল কম নামছে। এতে করে জেলার নদনদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সেইসঙ্গে জেলায় বন্যার কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার সকল নদ নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এমআর