রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

আদালতের আদেশে ধর্মঘট ছেড়ে কাজে ফিরেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ১৫৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমনে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেওয়া দমনমূলক ব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক ও শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট কর্মীরা ধর্মঘট ছেড়ে কাজে ফিরেছেন।

গত ২০ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি ক্যাম্পাসে ওই ধর্মঘট শুরু হয়। পরে আদালতের নির্দেশে গতকাল সোমবার থেকে নিজেদের কাজে ফিরেছেন ওই শিক্ষক ও শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট কর্মীরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ধর্মঘট বন্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, এই ধর্মঘট শ্রম–সংক্রান্ত নয় এবং এটা শ্রমিক ইউনিয়ন চুক্তির ধারা লঙ্ঘন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আবেদনের ভিত্তিতে অরেঞ্জ কাউন্টির এক আদালতের বিচারক গত শুক্রবার রাতে ধর্মঘটের ওপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যালিফোর্নিয়া পাবলিক এমপ্লয়মেন্ট রিলেশন্স বোর্ডে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে পিটিশন করেছিল। কিন্তু বোর্ড দুবার তাদের ধর্মঘটের ওপর স্থগিতাদেশ জারির আবেদন বাতিল করে দেয়।

ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন লোকাল ৪৮১১ (ইউএডব্লিউ)–এর ডাকে সাড়া দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, স্নাতক শিক্ষা সহকারী ও পোস্টডক্টরাল গবেষকেরা একজোট হয়ে ওই কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেভাবে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ দমন করেছে, তা শ্রম আইন অনুযায়ী অন্যায্য।

ইউএডব্লিউ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ক্যাম্পাস ও লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির প্রায় ৪৮ হাজার অস্থায়ী শিক্ষা–সংশ্লিষ্ট কর্মীর প্রতিনিধিত্ব করে।
গত ২০ মে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির সান্তা ক্রুজ ক্যাম্পাসে। দুই সপ্তাহে তা আরও পাঁচটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছয় ক্যাম্পাসে ইউএডব্লিউর সাড়ে ৩১ হাজার সদস্য রয়েছে।

ধর্মঘটের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ আসার পর এক বিবৃতিতে একে স্বাগত জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রমিক সম্পর্কবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মেলিসা মেটেলা। তিনি বলেন, ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে এবং চূড়ান্ত ত্রৈমাসিক সমালোচনামূলক গবেষণা প্রকল্পগুলো স্থগিত হয়ে যেতে পারে।

ইউএডব্লিউ ৪৮১১–এর নেতারা ধর্মঘটের ওপর জারি করা আদালতের স্থগিতাদেশের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘বিচারক কর্মসংস্থান–সম্পর্কিত বোর্ডের কর্তৃত্ব অস্বীকার করেছেন ও আদালতের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে শ্রম বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন।
তবে আদালতের আদেশ মানার কথা জানিয়েছেন ইউনিয়নের নেতারা। সামনে আরও বিক্ষোভ আয়োজনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তাঁরা।

ধর্মঘটকারীরা অন্যান্য দাবির পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় যেসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষাকর্মীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়েছেন।
গত ২ মে পুলিশ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাম্পাস থেকে ২১০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।

এদিকে ধর্মঘটের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না, সে বিষয়ে শুনানির জন্য ২৭ জুন দিন ধার্য করেছেন বিচারক র‍্যান্ডাল শেরম্যান।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর