মতলব উত্তরে পশুহাটে ক্রেতা কম, জমেনি বেচাকেনা

কোরবানির ঈদ ঘিরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় হাটে বেড়েছে পশুর সরবরাহ। পশু বিক্রেতারা হাটে পর্যাপ্ত গরু নিয়ে এলেও ক্রেতা উপস্থিতি কম, ফলে জমে এখনো ওঠেনি বেচাকেনা।
শেষ বাজারে ভারতীয় গরু না এলে ভালো ব্যবসার আশা পশু ব্যবসায়ীদের। ঈদকে সামনে রেখে লাভের আশায় হাটে গরু নিয়ে ভিড় করছেন পশু পালনকারীরা। কিন্তু ক্রেতা স্বল্পতায় এখনও জমে ওঠেনি বেচাকেনা।
উপজেলায় সবচেয়ে বড় গরু বেচাকেনার হাট ছেংগারচর বাজার। সোমবার ১০ জুন বাজারে গিয়ে দেখা যায় , গরু উঠেছে অনেক। কিন্তু বিক্রি করার মত ক্রেতা এখনও পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদ যত এগিয়ে আসবে হাটে ক্রেতা তত উপস্থিতি বাড়বে।
ব্যবসা ভালো হবে বলে আশা পশু ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদের। উপজেলায় ছোট ঝিনাইয়া গ্রামের গরু বিক্রেতা শাহজাহান বলেন, এবার ঈদে বিক্রি করার জন্য ৫টি গরু পালন করে ছিলাম। ১টি বাজারে নিয়ে এসেছি কিন্তু লোকজন নাই। এ বাজারে যে রকম ভিড় হয় , সেরকম এখনো জমে ওঠেনি। ৪ লাখ টাকার গরু মূল্য হাকায় ৩ লাখ টাকা।
ছেংগারচর হাটের হাট ইজারাদের প্রতিনিধি বলেন, দেশি এবং স্থানীয় খামারিদের গরু দিয়ে আমাদের হাট চলে। আমরা আশা করছি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতারা এ হাটে আসবে। উপজেলায় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা.শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, এ উপজেলায় চাহিদার তুলনায় পশু কম আছে।
আশেপাশের জেলা থেকেও ব্যবসায়ীরা অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে অনেক গরু হাটে নিয়ে আসে। তবে প্রাকৃতিকভাবে স্থানীয় গবাদিপশু লালন-পালন করায় দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকে। অন্য জেলা থেকে আসা গরু দিয়ে কোরবানী গরুর চাহিদা পূরণ হবে। আশা করি তেমন কোন সমস্যা হবে না।
সোনালী বার্তা/এমএইচ