সরকার পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচন করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচন করতে হবে। আমাদের দেশের সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয় ।
আজ (শনিবার) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচন করতে হবে। জনগণের ভোটে সরকার পরিবর্তিত হয়। ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন প্রসঙ্গ হলো গণঅভ্যুত্থান। তারা তো বলে কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে। এটা হাস্যকর। তাদের নেতা-কর্মীরা তো এখন আন্দোলন করছেন না। তাদের পার্টির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মানসিকতা নেই। জনগণ যে আন্দোলনের সম্পৃক্ত থাকবে না, সেটা কোনদিন গণঅভ্যুত্থান হতে পারে না।
এদেশের ৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এরপর কোনো গণঅভ্যুত্থান হয়নি। ’৯০ এর আন্দোলনকে আমি গণআন্দোলন বলব, এরশাদ সরকারকে যে আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে হয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন।এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেবো না। তবে আমরা আক্রমণ করব না, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি আছে।
এই ব্রিফ্রিংয়ে জাতিসংঘ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতিসংঘ এখন নখদন্তহীন। তাদের কথা ইসরায়েল শোনে না। বড় বড় দেশগুলোও শোনে না।
পশুবাহী গাড়ি ও সড়কের পাশে পশুর হাটের কারণে সড়কে কিছুটা চাপ ও যানজট আছে তবে ভোগান্তিবিহীন ঈদ যাত্রায় মাঠে আছে সরকার।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে সংকট আছে তবুও অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।