সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে উত্তর কোরিয়ায় পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক / ৭০ Time View
Update : বুধবার, ১৯ জুন, ২০২৪

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন আজ বুধবার পিয়ংইয়ংয়ে শীর্ষ বৈঠক শুরু করেছেন। বৈঠকে তাদের মধ্যে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বাতিল ও পারস্পারিক সামরিক সম্পর্ক বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
পুতিন কুমসুসান স্টেট গেস্ট হাউসে আয়োজিত এই আলোচনার আগে একটি অনুষ্ঠানের জন্য কিম ইল সুং স্কোয়ারে পৌঁছেছিলেন। স্থানটি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার পতাকা এবং দুই নেতার বড় প্রতিকৃতি দিয়ে সজ্জিত ছিল।

রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানায়, পুতিনের এই সফরকালে দু’দেশের মধ্যে একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে।
এর আগে কিম বিমানবন্দরে পুতিনকে অভ্যর্থনা জানান। এই সময় দুই নেতা লাল গালিচায় আলিঙ্গন করেন।
পুতিন ও কিম দু’দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উপর জোর দেন। তাদের এই ঘোষণা সিউল ও ওয়াশিংটনে জন্য উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

এটি ২০০০ সালের পর উত্তর কোরিয়ায় পুতিনের প্রথম সফর।
পশ্চিমা দেশগুলো কিমকে উভয় দেশের উপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ এনেছে। যদিও মস্কো ও পিয়ংইয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে স্পেস এয়ারপোর্টে পুতিনের সাথে শীর্ষ সম্মেলনের জন্য কিম তার বুলেট প্রুফ ট্রেনে রাশিয়ার সুদূর পূর্ব অঞ্চলে যাওয়ার পর এক বছরের মধ্যে এটি দুই নেতার দ্বিতীয় বৈঠক।

পুতিনের এই ফিরতি সফর দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ‘অজেয়তা ও স্থায়িত্ব’ তুলে ধরছে।
পুতিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভসহ বেশ কয়েকজন রুশ কর্মকর্তার সঙ্গে সফর করছেন।
এই সফরটি প্রতিরক্ষা সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
যদিও নেতারা অর্থনৈতিক খাতে দু’দেশের সহযোগিতাকে প্রকাশ্যে তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে যে কোনো ধরনের অস্ত্র চুক্তি পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যে রেজুলেশন রয়েছে, তা লঙ্ঘন করবে।

উত্তর কোরিয়া বিষয়ক গবেষক ডংগুক বিশ্ববিদ্যালয় ইমেরিটাস অধ্যাপক কোহ ইউ-হওয়ান বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র সমর্থন প্রয়োজন, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার চাপ কমাতে উত্তর কোরিয়ার খাদ্য, শক্তি ও উন্নত অস্ত্রের ক্ষেত্রে রাশিয়ার সমর্থন প্রয়োজন।

দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে পুতিনের এই উত্তর কোরীয় সফরটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সোমবার ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।
দুই কোরিয়া তাদের ১৯৫০-৫৩ সালের দ্বন্দ্বের পর থেকে প্রযুক্তিগতভাবে যুদ্ধে লিপ্ত এবং তাদের বিভক্ত করা সীমান্তটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সুরক্ষিত সীমানা।

সোনালী বার্তা/এমএইচ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর